রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার আসামিদের মুক্তির সিদ্ধান্ত
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলার সাত আসামিকে মুক্তি দিতে সুপারিশ করবে তামিলনাড়ুর মন্ত্রিসভা।
ভারতের সংবিধানের ১৬১ ধারা অনুসারে রাজ্যপালের কাছে এই সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করেন রাজ্যটির মৎস্যমন্ত্রী ডি জয়কুমার।
রোববার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ই পলনিস্বামীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন জয়কুমার। তিনি বলেন, রাজ্যপাল রাজ্যের নির্বাহী কর্তৃপক্ষ। তাই তিনিই সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন।
রাজীব হত্যা মামলার আসামি নলিনী শ্রীহরন, মুরুগান ওরফে শ্রীহরন, এ জি পেরারিবলন, রবার্ট পায়াস, রবিচন্দ্রন, সন্থন ও জয়কুমার ইতোমধ্যে ২৭ বছর কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।
সম্প্রতি পেরারিবলনের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার আদেশ দেন কর্তৃপক্ষকে।
------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে পৃথক হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৭ জন নিহত
------------------------------------------------------------------
মন্ত্রিসভা আসামিদের মুক্তির সুপারিশের সিদ্ধান্তের ঘোষণা করার পর পেরারিবলনের মা অরুপুথম্মল রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। তার ছেলে এবং অন্য আসামিদের মুক্তি দিতে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মন্ত্রিসভাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমার অনুরোধ আপনারা এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করবেন না। মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত ২৭ বছর ধরে কারাদণ্ড ভোগ করা সাত আসামিদের পরিবারের সদস্যদের মনে শান্তি ও আশার আলো ফুটিয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সালে আসামিদের মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। সুপ্রিম কোর্ট তখন বলেন, কেন্দ্রের ছাড়পত্র ছাড়া এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না রাজ্য।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে এলটিটিই’র আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন রাজীব গান্ধী। এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্তদের দণ্ডের বিষয়টি রাজ্যটির অনেকের কাছে আবেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা মনে করেন দোষী সাব্যস্ত হওয়া এই ব্যক্তিদের ওই ঘটনায় ভূমিকা খুবই কম। তাদের এই ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন :
কে/এ
মন্তব্য করুন