• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ত্রিপুরায়ও কী দেখা যাবে মোদি ম্যাজিক?

আহাম্মদ উল্লাহ সিকদার

  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:২৬
ফাইল ছবি

ভারত, কংগ্রেস ও বিজেপির জন্য ২০১৪ সালটা একটি স্মরণীয় বছর। ওই বছরই ভারতজুড়ে ঘটে যায় এক সরব গেরুয়া বিপ্লব। যার নেতৃত্বে ছিলেন গুজরাটের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চা বিক্রেতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যতোটা না আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশি হয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশটিতে ২০০৪ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। কিন্তু মোদি এমন ভেলকি দেখালেন যে পুরো চিত্রপটই পাল্টে গেলো। লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৮২টিতে জয় পায় নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। আর কংগ্রেস পায় ৪৪টি আসন। সেই শুরু। এরপর একে একে উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও আসামে হানা দেয় মোদির বিজেপি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সমাজবাদী পার্টিকে হটিয়ে উত্তর প্রদেশে পদ্ম ফোটান মোদি।

জাতীয় নির্বাচনের পর যতোগুলো আঞ্চলিক নির্বাচন হয়েছে প্রত্যেকটিতেই মোদি ম্যাজিক দেখা গেছে। সেসব রাজ্যের সবকটিতে সরকার গঠন করতে না পারলেও আগের চেয়ে বেশি আসন বাগিয়েছে মোদি। এরইমধ্যে বাংলাদেশ লাগোয়া আসাম রাজ্যে কংগ্রেসকে হটিয়ে গেরুয়া ঝাণ্ডা উড়ায় বিজেপি।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: দাড়ির স্টাইল নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানে প্রস্তাব পাস
--------------------------------------------------------

গেলো ১৮ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই রাজ্যে ২৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে বামপন্থি সরকার। কিন্তু বুথ ফেরত জরিপে দেখা গেছে, ত্রিপুরায় মানিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। আর যদি সেটি নাও হয়, প্রায় সমান সংখ্যক আসন পেতে পারে ক্ষমতাসীন সিপিআইএম সরকার।

ওদিকে মঙ্গলবার নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও ক্রীড়নকের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে বিজেপিকে। বুথ ফেরত জরিপে যেমন আভাস তাতে মনে হচ্ছে নাগাল্যান্ডেও ক্ষমতার মসনদে বসতে পারে বিজেপি জোট সরকার। আর মেঘালয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে কংগ্রেস।

যদি এমনটা হয়, তাহলে কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর রাহুল গান্ধীর জন্য এটিই হবে প্রথম পরীক্ষা জয়।

তবে ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে কে সরকার গঠন করবে সেটি জানার জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। আর সেই অপেক্ষা শেষ হবে ৩ মার্চ, এই তিন রাজ্যের ফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে। কিন্তু এসব রাজ্য জয়কে ছাপিয়ে যে বিষয়টি বড় হয়ে উঠছে, তা হলো হিন্দু জাতীয়তাবাদ আর মুসলিম বিদ্বেষী গলাবাজি দিয়েই কী আরও একবার দিল্লির মসনদে বসতে চাইছেন মোদি।

আরও পড়ুন:

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাতাসেই ভেঙে পড়ল সেতু
বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন
X
Fresh