• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ওষুধ-রোগ নির্ণয়ে ডাক্তারদের ৪০ শতাংশ কমিশন নেয়ার অভিযোগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

  ০২ মে ২০১৮, ১৮:৫৫
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প অনেক দূর এগিয়েছে। এ দেশ থেকে এখন ১৫০টির বেশি দেশে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। দাম কম হওয়ার কারণে আমেরিকার মতো দেশেও ওষুধের চাহিদা রয়েছে। ওষুধ শিল্পের এই উন্নয়নের ধারায় এ শিল্পকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরকে ওষুধ ও ওষুধ তৈরির কাঁচামালকে প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছেন।

কিন্তু তার মধ্যেও এ শিল্পকে নানাভাবে কলঙ্কিত করছে এক শ্রেণির অসাধুরা। কলুষিত করছেন পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও।

অভিযোগ আছে, ওই শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা দোকানে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে যাচ্ছেন। প্রেসক্রিপশন ছাড়াও রোগীদের নিম্নমানের ওষুধ দিয়ে যাচ্ছেন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : কাতার থেকে আসা এলএনজির এখন শুধু অপেক্ষা
--------------------------------------------------------

আবার ডাক্তাররাও বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির ফাঁদে পড়ছেন। একটু বাড়তি লোভ পেয়ে রোগীকে প্রাধান্য না দিয়ে কখনো কখনো বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন ওইসব কোম্পানির কাছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক বলছে, প্রায়ই অভিযোগ আসে- রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যেসব ডায়গনস্টিক রিপোর্ট প্রণয়ন করা হয়, তার মোট মূল্যের ৪০ শতাংশ কমিশন সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপত্র প্রদানকারী চিকিৎসক পেয়ে থাকেন।

বিষয়টি উদ্বেগজনক উল্লেখ করে দুদক স্বাস্থ্য খাতের নানা দুর্নীতি প্রশমনে একগুচ্ছ সুপারিশ করেছে।

ওইসব সুপারিশ সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

সুপারিশগুলোর মধ্য রয়েছে-

এক. চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের ব্র্যান্ডের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা।

দুই. ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে থাকা বাধ্যতামূলক করা। এটা করা হলে উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করে দুদক।

তিন. উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ না করলে উচ্চ শিক্ষার অনুমতি না দেয়া।

চার. চিকিৎসকদের জন্য যুগোপযোগী ক্যারিয়ার প্লানিং এবং বদলি নীতিমালা প্রণয়ন করা সমীচীন। এছাড়া চিকিৎসকদের পদোন্নতি বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে সম্পন্ন করা যেতে পারে।

পাঁচ. সব প্যাথোলজিক্যাল ডায়গনস্টিক সেন্টারে প্রতিটি পরীক্ষার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্য সরকারিভাবে নির্ধারণ করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন :

এসআর/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বেনজীরের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক
বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
রাবিতে দুদকের অভিযান
X
Fresh