• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চরম ঝুঁকিতে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

ফেরদৌস জুয়েল, গাইবান্ধা

  ৩০ মার্চ ২০১৮, ১০:৩২

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মেরামত কাজ না করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ৭৮ কিলোমিটার এলাকার অন্তত ১শ’টি স্থান।

প্রতিদিন এই বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। গেলো বর্ষা ও বন্যায় এরইমধ্যে বাঁধটির ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি অংশের অবস্থা একেবারেই নাজুক।

শুষ্ক মৌসুম শেষ হতে চলছে। অথচ এখনও বিধ্বস্ত বাঁধ মেরামতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে বন্যায় বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছেন জেলার চার উপজেলার মানুষ।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: অবশেষে দীপ্তও নিভে গেলো
--------------------------------------------------------

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, গাইবান্ধা জেলাকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে ১৯৬২ সালে রংপুরের কাউনিয়া থেকে পাবনা পর্যন্ত ২১৭ কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে সাঘাটা উপজেলা পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার অংশ রয়েছে। এই বাঁধটির ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়নের সিংড়িয়া নামক স্থানে ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই প্রায় ২শ’ মিটার অংশ ভেঙে গেলে ফুলছড়ি, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর ও পলাশবাড়ী উপজেলার ২৫টিরও বেশি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় সাড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েক হাজার একর জমির ফসল, রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্টসহ অসংখ্য স্থাপনা। চলতি শুষ্ক মৌসুম অতিবাহিত হতে চললেও বাঁধটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সরেজমিনে বাঁধটি ঘুরে দেখা গেছে, বাঁধটির গাইবান্ধা অংশে ৭৮ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি অংশের অবস্থা একবারেই বেহাল দশা। এসব অংশের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল-মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান চলাচল করছে।

বাঁধের পাশে বসবাসকারীরা জানান, শুধুমাত্র বন্যার সময়েই বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে মাটি ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙনরোধে চেষ্টা করা হয়। বন্যা পেরিয়ে গেলে আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাউকে দেখা যায় না। বর্তমানে বাঁধের প্রায় ১শ’টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনরোধ, বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে ফেরি চলাচলের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদে ড্রেজিং এবং জেলাকে বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি মেরামতে ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

এরমধ্যে ২৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট এলাকায় এক হাজার ৩শ’ মিটার, সিংড়িয়া-রতনপুর-কাতলামারী এলাকায় দুই হাজার ২শ’ মিটার ও গজারিয়ার গণকবর এলাকায় ৭শ’ মিটার এবং সদর উপজেলার বাগুড়িয়া এলাকায় ৩শ’ মিটার স্থায়ী (সিসি ব্লক দ্বারা) সংরক্ষণ করা হবে।

এছাড়া ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিং করা হবে ১০ দশমিক ২২ কিলোমিটার। এই মেগা প্রকল্পের আওতায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত ১০ কিলোমিটার অংশ মেরামত করা হবে। এসব কাজের টেন্ডার করা হয়েছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া বাঁধের অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে মেরামত করা হবে বলেও জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:

জেবি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে আর ফিরল না সোহান
যমুনা নদী‌তে অষ্টমীর স্না‌নে পুণ্যার্থীদের ঢল
সোমেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ তরুণের মরদেহ উদ্ধার
গোসলে নেমে স্রোতে ভেসে গেল শিশু
X
Fresh