• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সম্পর্কটা কোন দিকে যাচ্ছে?

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০২ মার্চ ২০১৮, ১৪:০৫

গেলো বছরের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশ সীমান্তে ধেয়ে আসতে থাকে রোহিঙ্গার স্রোত। সংকটে পড়ে বাংলাদেশ। কয়েক হাজার একর বন উজাড় হয়ে যায়, বানানো হয় রোহিঙ্গা শিবির। আশ্রয় পায় দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

এতে একদিকে যেমন বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোর ভারসাম্য। গত কয়েকদিন থেকেই বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মিয়ানমার বাড়তি বিজিপি মোতায়েন করায় উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে। বেশ কয়েকবার আকাশ সীমা লঙ্গনের ঘটনাও ঘটেছে।

কিন্তু বাংলাদেশ শুরু থেকেই সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে আসছে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সম্পর্কটা ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে?

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের জন্য বহু বছর ধরে কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশ চেষ্টা করলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হয়ে বরং আরও অবনতি হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো। কিন্তু এই সম্পর্কের সবচেয়ে বড় ধাক্কা সামলাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজিম উদ্দিন বলেন, নিঃসন্দেহে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ চায় না মিয়ানমারের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন এবং আমেরিকার মতো দেশগুলো নীরবতা পালন করছে। সেজন্য বাংলাদেশ জানে যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় শক্তিগুলোর সমর্থন পাবে না।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কোন সামরিক উপায়ে হতে পারে না। এ সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় জঙ্গিবাদ তৈরির ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তাছাড়া বান্দরবান এবং কক্সবাজার ভৌগোলিকভাবে একটি স্পর্শকাতর এলাকা। সেজন্য রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান কূটনৈতিকভাবে করার চেষ্টা করছে। সেটা কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও গবেষক মারুফ বিল্লাহ বলেন, যত শিগগিরই সম্ভব রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে আসছে। কিন্তু মিয়ানমার বাংলাদেশের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছে, সীমান্তে গুলি বর্ষণ করেছে। ক্রমশই আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নানা কারণেই সম্পর্ক ছেদ করতে পারবে না। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ ভালো কিছু বয়ে আনবে না বলেও মনে করেন এই গবেষক। মারুফ বিল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গা সংকট য্তদিন সমাধান না হবে, ততদিন দু্ই দশের সম্পর্ক বৈরীই থাকবে। এক্ষেত্রে মিয়ানমারকেই সম্পর্ক উন্নয়নে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্য থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে পালিয়ে আসে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আসে আরও ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। প্রায় ১১ লাখের মধ্যে ইতিমধ্যে ১০ লাখ ৭৬ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়েছে।

আরও পড়ুন:

এসজে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh