প্রথম একাদশেই রোনালদো
এক যুগ পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে নামলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ধারণা করা হচ্ছিল বদলি হিসেবে অভিষেক হবে তার। তবে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে প্রথম একাদশেই জায়গা পেলেন তিনি।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ওল্ডটাফোর্ডে ম্যানইউর প্রতিপক্ষ নিউক্যাসেল ইউনাইটেড।
২০০৩ সালে স্পোর্টিং সিপি থেকে যোগ দেন ইংলিশ ক্লাবটিতে। ছয় মৌসুমে নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে প্রমাণ করতে সামর্থ্য হন। ২০০৯ সালে পাড়ি জমান রিয়াল মাদ্রিদে।
এদিন ম্যানচেস্টারে একাদশে রোনালদো ছাড়াও আক্রমণ ভাগে জায়গা হয়েছে ম্যাসন গ্রিনউড, ব্রুনো ফার্নান্দেজ জাদন সাঞ্চোর।
নেমাঞ্জা ম্যাটিক ও পল পগবা সামলাচ্ছেন মধ্যমাঠ।
ওয়ান বিশাকা, রাফায়েল ভারানে, হ্যারি মাগুয়ের ও লুক শ রয়েছেন রক্ষণ ভাগে। গোল পোস্ট সামলাচ্ছেন ডেভিড ডি গেয়া।
ওয়াই
মন্তব্য করুন
বিস্ময়–বালক এনদ্রিকের গোলে ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল
ওয়ম্বেলির গ্যালারি কানায় কানায় পরিপূর্ণ। ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ীদের সঙ্গে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের লড়াই!
এদিকে কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই বেশ অগোছালো ব্রাজিল এদিন প্রথমবার নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়রের অধীনে মাঠে নেমেছিল। তাই দরিভালের শুরুটাও দেখার অপেক্ষায় ছিল ফুটবলপ্রেমীরা। তবে সব আলোচনা ছাপিয়ে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল।
দলকে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন বিস্ময়বালক এনদ্রিক। শুরুর একাদশে না নামলেও ম্যাচের ৭১তম মিনিটে রদ্রিগোর বদলি নেমে তার ৯ মিনিট পরই পেয়ে গেছেন গোলের দেখা। রোনালদোর পর চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে দেশের হয়ে গোলের রেকর্ড এখন এই ব্রাজিলিয়ানের দখলে।
এদিকে একবিংশ শতাব্দীতে সেলেসাওদের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা এখন ১৭ বছর ৮ মাস ২ দিন বয়সী এনদ্রিকই। তার ওপরে আছেন ‘ফুটবলের রাজা’ পেলে, এদু এবং রোনালদো ‘দ্য ফেনোমেনন’। তবে এক জায়গায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন এই বিস্ময়বালক। ওয়েম্বলিতে জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করা ফুটবলার এখন তিনিই।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু থেকেই দাপট দেখায় সেলেসাওরা। ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন রদ্রিগো। তবে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের শট রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক। এরপর ম্যাচের ১২তম মিনিটে আরও একবার সুযোগ হাতছাড়া করে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের পুরোটা সময়জুড়ে বেশ কিছু সুযোগ মেলেও নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে তা কাজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিয়াসরা। অন্যদিকে বল পজিশনে এগিয়ে থেকেও প্রথমার্ধে ব্রাজিলের সীমানায় খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধেও ব্রাজিলের ওপর চাপ বাড়ায় ইংল্যান্ড। তবে তেমন একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেননি হ্যারি কেইনকে ছাড়া খেলতে নামা দলটি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৮০তম মিনিটে এনদ্রিকের গোলে স্তব্ধ হয়ে যায় ওয়েম্বলির গ্যালারি।
মেসির পর এবার দি মারিয়াকে হত্যার হুমকি
লিওনেল মেসির শহর রোজারিও’তেই জন্ম আর্জেন্টিনার ফুটবল সাফল্যের অন্যতম বড় কাণ্ডারি আনহেল ডি মারিয়ার। এবার সেই শহরেই হত্যার হুমকি পেয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী এই উইঙ্গার।
আর্জেন্টিনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রোজারিওতে দি মারিয়া ফিরলে তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
বর্তমানে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায় খেলছেন আর্জেন্টাইন এই ফুটবলার। তবে গত সপ্তাহে দি মারিয়া জানিয়েছিলেন, ছেলেবেলার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে খেলেই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান তিনি। এবার ওই ঘোষণার পরই হত্যার হুমকি পেলেন তিনি।
সোমবার (২৫ মার্চ) ভোরে তার বাড়িতে একটি ধূসর গাড়ি থেকে হুমকিসংবলিত কাগজ ছুঁড়ে ফেলে যায় অজ্ঞাতরা। সেই কাগজে ডি মারিয়ার পরিবারের উদ্দেশে লেখা ছিল, আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নর ম্যাক্সিমিলিয়ানো পুয়ারোও ডি মারিয়াদের নিরাপদে রাখার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না।
এদিকে সেই কাগজের বার্তা ও পুলিশের বরাত দিয়ে আর্জেন্টাইন নিউজ পোর্টাল ইনফোবে তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছে, ‘তোমাদের ছেলে আনহেলকে বলো রোজারিওতে না ফিরতে। সে যদি ফেরে, তোমাদের পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে আমরা খুন করব। পুয়ারোও তোমাদের বাঁচাতে পারবে না। আমরা শুধু কাগুজে বার্তাই ফেলে যাই না, আমরা বুলেট আর লাশও ফেলে যাই।’
এর আগে, গত বছর আকাশি-নীল শিবিরের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোর পরিবারের সুপারমার্কেটে বন্দুক হামলা করেছিল অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। সেখানে সেই সন্ত্রাসীরা ‘মেসি, আমরা তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। (রোজারিওর মেয়র) পাবলো ইয়াভকিন নিজেই মাদক চোরাচালানকারী। সে তোমাকে বাঁচাতে পারবে না’ লেখা কাগজও ফেলে রেখে গিয়েছিল।
জালিয়াতির অভিযোগে ব্রাজিলিয়ান তারকার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা
ডোপ টেস্টে জালিয়াতির অভিযোগে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ফ্ল্যামেঙ্গোর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। সোমবার ব্রাজিলের এক ক্রীড়া আদালত এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানিয়েছেন।
ঘটনাটি মূলত গত বছরের ৮ এপ্রিলের। রিও ডি জেনিরোতে হঠাৎই তার ডোপ পরীক্ষা করা হয়। সে সময়ে ডোপ পরীক্ষার সময় অসহযোগিতা করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
ব্রাজিলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ডোপ পরীক্ষার সূচি মানেননি বারবোসা। একই সঙ্গে ডোপিং কর্মকর্তাদের যথাযথ সম্মান দেখাননি তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে পাঠানো বিবৃতিতে ব্রাজিলের সেই ক্রীড়া আদালত জানিয়েছেন, ‘উল্লেখিত ক্রীড়াবিদের (গ্যাব্রিয়েল বারবোসা) আজ অ্যান্টি-ডোপিং স্পোর্টস কোর্ট অফ জাস্টিসে (TJD-AD) বিচার করা হয়েছিল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার প্রতারণামূলক চেষ্টায় অ্যান্টি-ডোপিং নিয়মের লঙ্ঘন ঘটেছে।’
এদিকে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন গাবিগোল নামে পরিচিত এই ফুটবলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
টুইটে বারবোসার ভাষ্য, আমি কখনোই কোনো পরীক্ষায় প্রতারণা করতে চাইনি। আমার বিশ্বাস উচ্চ আদালতে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হবো। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমি খেলার সব নিয়ম অনুসরণ করে এসেছি এবং কখনোই নিষিদ্ধ দ্রব্য গ্রহণ করিনি। আমি ডজনখানেক টেস্টের সম্মুখীন হয়েছি। সবখানেই নেতিবাচক ফল এসেছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ফ্ল্যামেঙ্গোতে যোগ দেন বারবোসা। এর আগে, ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানের জার্সিতে এক বছর খেলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষিক্ত বারবোসা এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ১৮ ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ৫ গোল।
অতিরিক্ত সময়ের রোমাঞ্চে হারল বাংলাদেশ
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ যৌথ বাছাইয়ের দ্বিতীয় লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ১-০ গোল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের একাধিক আক্রমণে বিপরীতে বাংলাদেশও বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল। তবে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিক দল। আর ইনজুরি টাইমের গোলে বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছে সফরকারীরা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে সফরকারীরা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে স্বাগতিকদের ডিফেন্সকে ব্যস্ত রাখে ফিলিস্তিনের আক্রমণভাগ। তবে শুরুর দিকে খানিকটা সময় নিয়ে নিজেদের গুছিয়ে নেয় লাল-সবুজের দল।
এদিন পুরো ম্যাচজুড়ে লাল-সবুজের রক্ষণভাগকে পরীক্ষা দিতে হয়। তবে বাংলাদেশই সবচেয়ে বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল।
ম্যাচের ১২তম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। তবে দলকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
এরপর ম্যাচের ২১তম মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে হঠাৎ আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তপু বর্মণের বাড়ানো পাসে বক্সে ঢুকে পড়েন ফাহিম। তবে ঠিকঠাক ক্রস নিতে না পারায় লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি তিনি।
এরপর ২৯তম মিনিটে আবারও সুযোগ হাতছাড়া করে স্বাগতিক দল। প্রতিপক্ষের কর্ণার কিক থেকে পাল্টা আক্রমণে যায় জামাল ভূঁইয়ার দল। বল নিয়ে একাই বক্সে ঢুকে পড়েন রাকিব। তবে জটলার মধ্যে আটকে পড়ে জনির ভুলে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে বক্সের সামনে থেকে লক্ষ্যের দিকে শট নিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের ওদয় দাবাগ। তবে তার কোনাকুনি শট গ্রিপ করেন মিতুল।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে সবচেয়ে বড় সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। কর্ণার থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান জামাল। মাঝমাঠ থেকে তাকে অনুসরণ করে ফাহিমও বক্সে ঢুকে পড়েন। এরপর প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের বাধা টপকে ফয়সালকে ক্রস দেন জামাল। তবে প্রতিপক্ষের গোলকিপারকে বোকা বানাতে ব্যর্থ হন তিনি। অন্যদিকে ওয়ান টু ওয়ান সুযোগ লুফে নিতে পারেননি ফাহিমও। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতি থেকে ফিরে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে শাকিলের ব্যাকপাস থেকে বল পেয়ে যান ফিলিস্তিনের দাবাগ। তবে নিজের ভুলে ফাঁকা জালে বল জড়াতে পারেননি আগের ম্যাচের হ্যাটট্রিক ম্যান। ১০ মিনিট ব্যবধানে তার অসাধারণ হেড দুর্দান্ত নৈপুণ্যে সেভ করেন মিতুল মারমা। এরপর আলাদিনের দূরপাল্লার শটও রুখে দেন মিতুল।
ম্যাচের ৭০তম মিনিটে কয়েকটি পরিবর্তন করেন বাংলাদেশের কোচ। অধিনায়ক জামাল, ফাহিমের পরিবর্তে সোহেল রানা ও ফাহিমকে মাঠে নামান তিনি।
এরপর ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য সমতাতেই ছিল ম্যাচ। তবে অতিরিক্ত ৮ মিনিটে পাল্টে যায় চিত্র। ইনজুরি সময়ে মনঃসংযোগের ভুলে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফিলিস্তিনের আহমেদ। সেখানেই রক্ষণের ভুলে বড় ধাক্কা খায় লাল-সবুজ শিবির।
বক্সের মধ্যে আনমার্কড ছিলেন তেরমানিনি। তার কাছেই পরাস্ত হয়েছেন গোলরক্ষক মেহেদী শ্রাবণ। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে গোলরক্ষক মিতুল ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়লে মাঠে নেমেছিলেন শ্রাবণ।
৩-৩ গোলে ড্র ব্রাজিল-স্পেনের ম্যাচ
ব্রাজিল এবং স্পেনের শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে অনুষ্ঠিত ফিফা প্রীতি ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই হলেও জয় পায়নি কোনো দলই। ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে ম্যাচটি।
তবে আবার গোল করেছেন এনদ্রিক। ১৭ বছর বয়সী এই সেন্টার ফরোয়ার্ডের ফুটবলে মুগ্ধ ফুটবল বিশ্ব।
আগের প্রীতি ম্যাচ ব্রাজিল ১-০ গোলে হারায় ইংল্যান্ডকে। লন্ডনের ওয়েম্বলিতে সেই ম্যাচে জয়সূচক গোলটি ছিল তার। এবার ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল ব্রাজিল। সমতা এনে দিল এনদ্রিকের গোল।
এই ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছেন ভিনিসিয়াস, এনদ্রিক ও প্যাকুয়েটা। অন্যদিকে স্পেনের পেনাল্টি থেকে দুটি গোল পেদ্রির। আর অপর গোলটি করেন অলমোর।
এদিকে অপর প্রীতি ম্যাচে স্লোভেনিয়া ২-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগালকে।
কোস্টারিকাকে হারাল মেসিহীন আর্জেন্টিনা
লিওনেল মেসিকে ছাড়াই কোস্টারিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা।
বুধবার (২৭ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে এই জয় দিয়ে বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক সূচি শেষ করেছে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে আক্রমণের পসরা সাজিয়েও গোল হজম করতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। তবে দ্বিতীয় হাফে কোস্টারিকাকে ৩ গোল দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলবিসেলেস্তারা।
ম্যাচ শুরুর ৩৪ মিনিটে ম্যানফ্রেড উগালদে কোস্টারিকাকে এগিয়ে দেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য নিজেদের ফিরে পায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৫২ মিনিটে ডি মারিয়ার গোলে ১-১ সমতায় ফেরে আর্জেন্টিনা। এর ৪ মিনিট পরেই কর্নার থেকে গোল করে ম্যাক অ্যালিস্তার। এরপর ম্যাচের ৭৭ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের সুবাধে তৃতীয় গোলের দেখা পায় স্কালোনির শিষ্যরা।
এদিন ইনজুরির কারণে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি।
কবে অবসর নেবেন, জানালেন মেসি
আগামী জুনে ৩৭-এ পা দেবেন আর্জেন্টাইন মহারথি লিওনেল মেসি। সবকিছু বিবেচনায় এই সময়ে দীপ্তিময় সূর্যের সোনালি আভা ছড়ানোর শেষপ্রান্তে পৌঁছে যাবেন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী লিও বলেই কি না, এখনও প্রশ্নাতীতভাবে পুরো মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে ক্ষুদে এই জাদুকরের আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো নিয়ে কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে কম জল ঘোলা হচ্ছে না।
মেসির পক্ষ থেকে এতদিন কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না এলেও সম্প্রতি এমবিসি’র ‘বিগ টাইম পডকাস্ট’-এ নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা।
মেসির মন্তব্য, যখন মনে করবেন, আর কিছু দেওয়ার নেই; তখনই ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন।
বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের ভাষায়, সেই মুহূর্তটা কেমন হবে আমি জানি, যখন টের পাব আর পারফর্ম করতে পারছি না। বুঝতে পারব যে নিজেকে উপভোগ করছি না, সতীর্থদের কোনো সাহায্য করতে পারছি না (তখন সিদ্ধান্ত নেব)।
তিনি যোগ করেন, আমি ভীষণ আত্ম-সমালোচক। আমি জানি, কখন আমি ভালো (অবস্থায় থাকি), কখন খারাপ, কখন ভালো খেলি, কখন বাজে খেলি এবং যখন অনুভব করব পদক্ষেপটা নেওয়ার সময় এসেছে, বয়সের কথা না ভেবেই সেটা নেব। ভালো অনুভব করলে, আমি সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। কারণ, আমি এটাই পছন্দ করি এবং জানি, সেটা কীভাবে করতে হয়।
ইন্টার মায়ামির এই অধিনায়কের দাবি, কাতার বিশ্বকাপে সবকিছু যদি ঠিকঠাক না চলত, তাহলে আমি জাতীয় দল থেকে সরে দাঁড়াতাম।
মেসির ভাষ্য, খেলাধুলার দিক থেকে ক্যারিয়ার সবকিছু অর্জনের, স্বপ্ন পূরণের সৌভাগ্য হয়েছে আমার। সত্যি বলতে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ও ব্যক্তিগত জীবনে, পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলিয়ে এর বেশি আমি চাইতে পারতাম না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে যা দিয়েছেন, সেটা অনেক এবং আমি সবসময় তা উপভোগের চেষ্টা করি।