ঘুরে দাঁড়ানোয় বড় অবদান ছিল মাশরাফি ভাইয়ের: তামিম
ক্যারিবীয় সফরের শুরুটা যে এত হতাশার হবে সেটা কেউ ভাবেনি। ভাববার কথাও না। খেলায় হারজিত থাকবেই। তাই বলে এমন ভরাডুবি! দলের খেলোয়াড় থেকে সমর্থক, সবার ক্ষেত্রেই এটা মেনে নেয়া ছিল কষ্টের।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে অল আউট হবার লজ্জা। প্রথম টেস্টে যেমন ছিল দ্বিতীয় টেস্টেও একই হাল।
------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : এগিয়ে থেকেও ড্র করলো বাংলাদেশ
------------------------------------------------------------------
এমন হারে ভেঙে পড়েছিল দলের সবাই। ভেঙে পড়াটাই তো স্বাভাবিক।
এই সময়ে কেউ যদি পিঠ চাপড়ে বলে, ভেঙে পড়ার কিছু নেই, এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।
তামিমের সহজ স্বীকারোক্তি। ওয়ানডে দলের সাথে যোগ দিয়েই এমন কিছু শুনিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এরপর ওয়ানডে সিরিজ শুরু জয় দিয়ে। কি এমন জাদু নিয়ে গেলেন মাশরাফি!
তামিম বললেন, টেস্ট সিরিজে হারের পর স্বাভাবিকভাবেই আমরা ভেঙে পড়েছিলাম। এর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ওয়ানডে সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এরপর মাশরাফি ভাই যোগ দিলেন দলে। আমার মনে হয়, আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে উনার বড় অবদান ছিল অনেক। তিনি হয়ত কারও হাত ধরে ব্যাটিং বা বোলিং করে দেননি। কিন্তু দলের ভেতরের পরিবেশ বদলে দিতে অনেক সাহায্য করেছেন।
টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে চার ইনিংসেই ব্যর্থ ছিলেন তামিম। কিন্তু ওয়ানডে শুরু হতেই খোলস বদলে ফেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তিন ম্যাচের দুই ম্যাচেই পান শতক। দলের জয়ে যার অবদান অনস্বীকার্য।
‘টেস্ট সিরিজে যতটা আশা করেছিলাম তাঁর ধারে কাছেও যেতে পারিনি। দলের কেউই নিজের সেরাটা দিতে পারছিলো না। অনেকে উইকেট আর ডিউজ বল নিয়ে আলোচনা করছিল। একই রকম উইকেট ওয়ানডে সিরিজেও ছিল। কিন্তু উনি যেভাবে ইতিবাচক মনোভাব সবার ভেতরে দিয়ে দিয়েছিলেন তখন সবাই ভালো খেলেছি। কঠিন উইকেটেও কেউ হাল ছেড়ে দেয়নি’- যোগ করেন তামিম।
প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হেরে যায় বাংলাদেশ।
এ নিয়ে তামিম বলেন, ওইদিন আমরা সবাই মিলে বসেছিলাম। সেখানে মাশরাফি ভাই বলেন, আমরা যদি ম্যাচের আগেই ভেবে নেই ওরা আমাদের থেকে এগিয়ে তাহলে আমরা হেরে যাব। যা করার মাঠে করতে হবে।
তামিম মনে করেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজেও জয়ের পেছনে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের অনুপ্রেরণা কাজ করেছে।
আগামী সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে ৩১ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড়। অনুশীলন শুরু হবে ঈদের পর ২৭ আগস্ট থেকে।
এই অপেক্ষায় বসে না থেকে এখন থেকেই নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুন :
এমআর/
মন্তব্য করুন