অস্ত্রোপচার করলেও পুরোপুরি ঠিক হবে না
একের পর এক দুঃসংবাদ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চোট পেলেন নাজমুল হাসান অপু। তার আগে দুঃসংবাদ দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে নাকি পুরনো চোটের ব্যথা নিয়েই খেলছিলেন ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
যার জন্য ব্যথানাশক ইনজেকশনও দিতে হয়েছে দ্বিতীয়বারের মতো। তা দিয়ে আপদকালীন সময় পার করা গেলেও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে তো হবে টাইগার অধিনায়কের।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোটে পড়েন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
চিকিৎসকের পরামর্শে পুনর্বাসনে ছিলেন বেশ কয়েকদিন। এরপর আবারও মাঠে ফেরেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ত্রিদেশীয় নিদাহাস ট্রফিতে।
এরপর নিয়মিতই খেলে যাচ্ছেন তিনি। ক্যারিবীয় দ্বীপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের সময়ই বাঁধে বিপত্তি। পুরনো ব্যথা উঁকি দিয়েছে আবারও।
গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক ডাঃ দেবাশীষ চৌধুরী বলেছিলেন, অপারেশন লাগতে পারে সাকিবের।
আজ ৭ আগস্ট ডাঃ দেবাশীষ জানিয়ে রাখলেন, অপারেশন করাতেই হবে সাকিবের।
তিনি আরও বলেন, অস্ত্রোপচার করলেও আগের মতো ঠিক হবেনা। সাকিবের বাঁ হাতের যে আঙ্গুলে চোট পেয়েছিল সেখানে ফিঙ্গারের জয়েন্ট ডিস-লোকেশন ছিল। চোট পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয় সার্জন ডেভিড হয় এর তত্ত্বাবধানে সাকিবকে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেরে তোলা হয়। কিন্তু ইনজেকশন দিয়ে কতদিন। সফর শেষ করে দেশে আসলে সাকিব ও টিম ম্যানেজমেন্ট বসে সিদ্ধান্ত নিবে কখন অপারেশন করাবে সে। এরপর সুস্থ হতে সময় লাগবে দেড় মাসেরও বেশি সময়।
উল্লেখ্য, আগামী সেপ্টেম্বরেই রয়েছে এশিয়া কাপ। এরপরই বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এমআর/
মন্তব্য করুন