• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

পাকিস্তানি বৌমার পছন্দ কোহলিকে

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২২ জুন ২০২১, ১১:৪৯
পাকিস্তানি বৌমার পছন্দ কোহলি
ছবি সংগৃহীত

পাকিস্তানি পেসার হাসান আলি। দ্রুতগতির বোলার হলেও, সেই গতিতে স্ত্রীর ‘মন ঘোরাতে’ পারছেন না তিনি। ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি ছাড়া কাউকে পছন্দই করেন না পাক ক্রিকেটারের স্ত্রী সামিয়া আলি।

গত ২ বছর ধরে কোহলির উপর থেকে স্ত্রীর নজর কিছুতেই নিজের দিকে ঘুরিয়ে আনতে পারছেন না তিনি। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন হাসান আলির স্ত্রী সামিয়া আলি।

সামিয়া আলি আসলে মনেপ্রাণে একজন ভারতীয়। হরিয়ানার মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে হরিয়ানায় জন্ম হলেও গত ১৫ বছর ধরে সপরিবার ফরিদাবাদে বসবাস করছেন। সেখানেই সামিয়ারা ৬ ভাইবোন একসঙ্গে বড় হয়েছেন। বাবা লিয়াকত আলি ছিলেন হরিয়ানা সরকারের সমষ্টি উন্নয়ন কর্মকর্তা।

স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পর সামিয়া ফরিদাবাদের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। তার পর বিমান সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দুবাই চলে যান। সামিয়া কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকতেন। ২৬ বছর বয়সী হাসান তখন পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উঠতি তারকা। তিন বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তেমন সুযোগও পাননি।

দুবাইয়ে একটি টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিলেন হাসান। তখনই এক বন্ধুর মাধ্যমে সামিয়া-হাসানের আলাপ হয়। ২০১৯ সালে দুবাইয়েই একটি ছোট অনুষ্ঠান করে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের আগে ১ বছরের বন্ধুত্ব এবং প্রেম ছিলো তাদের।

প্রথম দেখাতেই সামিয়াকে ভালো লাগে হাসানের। কিন্তু সামিয়া ক্রিকেট নিয়ে কোনোদিন কৌতূহলী ছিলেন না। তাই হাসানকেও তিনি চিনতেন না। সামিয়ার কোমল হৃদয় ছুঁয়ে ছিল হাসানকে। প্রথম দিন থেকেই হয় বন্ধুত্ব। ক্রমেই মিশু ও যত্নশীল হাসানকে ভালো লেগে যায় সামিয়ার। এক বছরের বন্ধুত্ব এবং প্রেমের পর পরিবারকে এই সম্পর্কের কথা জানান। যদিও সীমান্তের দুইপাড়ের দুই পরিবার কীভাবে বিষয়টি নেবে তা নিয়ে যথেষ্ট ধন্দ্বে ছিলেন দু’জনেই। হয়েছিল উল্টোটা। হাসানকে নিয়ে যেমন সামিয়ার পরিবারের কোনও আপত্তি ছিল না, তেমন সামিয়ার কথা জানা মাত্রই তাকে স্বাগত জানান হাসানের পরিবারও।

সীমান্তের দুই পাড়ের রাজনীতির সঙ্গে এই সম্পর্ক কখনও মিশিয়ে ফেলে না তাদের পরিবার। সামিয়ার পরিবার পাকিস্তানকে আলাদা দেশ বলে মনেও করেন না। সে দেশে আজও তার পরিবারের কিছু লোক থাকেন এবং তাদের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগও রাখেন তার বাবা। দেশ ভাগের সময়ই তারা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন।

সে দেশে আজও তার পরিবারের কিছু লোক থাকেন এবং তাদের সঙ্গে নিত্য যোগাযোগও রাখেন সামিয়ার বাবা। দেশ ভাগের সময়ই তারা পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ২০ অগস্ট মসে তাদের বিয়ে হয়। বিয়েতে অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারও নিমন্ত্রিত ছিলেন। ওই বছরই একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন হাসান। ভারতের ক্রিকেট ভক্তরা কড়া সমালোচনা করেছিলেন তার।

হাসান পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এক র‌্যাম্প শো-এ মডেলিং করার সময় ওয়াঘা সীমান্তে পাক ‘বিটিং রিট্রিট’-এর মতো অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন। তখন নতুন জামাইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শ্বশুর (সামিয়ার বাবা)। হাসানের মনে ভারতীয় ক্রিকেটার এবং সর্বোপরি ভারতের প্রতি কতটা সম্মান রয়েছে তা জানিয়েছিলেন তিনি।

চলতি বছরের ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল মহামারির মধ্যেই তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রেখেছেন হেলেনা।সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

এসজে/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • ক্রিকেট এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিএনপি নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি তেমন কেনেন না : রিজভী
ভারতীয় পণ্য বর্জন আন্দোলন নিয়ে বিএনপিতে দ্বন্দ্ব!
বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচির কারণ জানালেন নাছিম
ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার
X
Fresh