তবু সন্তুষ্ট মুশফিক
গত পাঁচটি আসরে মাত্র দুইবার শেষ চারে খেলা হয়েছিল চিটাগংয়ের। সেটি ছিল আবার চিটাগং কিংস। চিটাগং ভাইকিংস হয়ে এবারই প্রথম খেলা হয়েছে শেষ চারের লড়াইয়ে। গত বিপিএলে ভাইকিংসরা বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই।
এবারের আসর শুরুর আগেও চিটাগং ভাইকিংসকে নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না সমর্থদেরও। এই দলটা তো এবার খেলারই কথা ছিল না বিপিএলে। শেষ মুহূর্তে দল গুছিয়েছিল ছিল ফ্রাঞ্চাইজিটি।
খুব বেশি ভালো খেলোয়াড়ও যে দলে নিতে পেরেছিল তাও না। মোটামুটি মানের একটা দল উঠিয়ে দেয়া হয়েছিল মুশফিকুর রহিমের কাঁধে।
এমন দল নিয়ে যেভাবে লড়াই করেছিল তাতে বলা যায়, প্রত্যাশার চেয়ে বেশিই ভালো খেলেছে ভাইকিংসরা।
গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচের ৭টিতে জয় পেয়ে তিন নম্বর দল হিসেবে নিশ্চিত করেছিল সেরা চারে খেলা।
এলিমিনেটর ম্যাচে আজ ঢাকার কাছে ৬ উইকেতে হেরে যদিও বিদায় নিতে হয়েছে মুশফিকদের। বিদায়টা কখনোই সুখকর নয়, তবুও বিদায় বেলায় মুশফিকের কথায় ফুটে উঠল প্রত্যাশা পূরণ হবার কথা।
‘আমাদের লক্ষ্য ছিল সেরা চারে যাওয়ার। সেটা আমরা পেরেছি। আমাদের চাপ কম ছিল। তবে চাচ্ছিলাম, এই বিপিএলে কিছু করে দেখাতে। আমার মনে হয় আমরা সেটা করতে পেরেছি। প্রথম দিকে আমরা ছয়টা ম্যাচ জিতে গিয়েছিলাম। আমাদের বিদেশি খেলোয়াড়রা আরেকটু ভালো থাকতো তাহলে আমাদের ফলটা আরও ভালো হতো। যেখানে আমরা শেষ করেছি, তাতে আলহামদুলিল্লাহ।’
মুশফিক আরও বলেন, আমাদের লাইনআপে এক্সপ্রেস বোলার বা ভালোমানের বোলার ছিল না। ভালো প্লেয়ার ছিল, কিন্তু তারা ক্লিক করেনি। দেলপোর্টও খুব ভালো খেলেছে। রবি ফ্রাইলিঙ্ক আশার চেয়ে অনেক বেশি ভালো খেলেছে। আমাদের স্থানীয়রা অনভিজ্ঞ। বিদেশিরা যদি আরও একটু ভালো খেলত, তাহলে আমরা হয়তো ভালো করতে পারতাম। ঢাকার মতো উইকেটে আমাদের মতো দলের জন্য কঠিন হয়ে যায়। আর সবমিলে বিপিএল খুব ভালো হচ্ছে। অনেক প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হচ্ছে। অনেক বিদেশি ক্রিকেটার এসেছে, খেলেছে। তাদের সাথে আমরা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পেরেছি এবং অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।
এমআর/এস
মন্তব্য করুন