স্বরূপে ফিরেই ঢাকা পর্বে পঞ্চপাণ্ডব
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সবার চোখ থাকে দেশীয় ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সের উপর। প্রায় প্রতি আসরেই কম বেশি হতাশ হতে হয় সমর্থকদের। আশানুরূপ পারফরমেন্স খুব একটা দেখা যায় না দেশি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। পরের আসরে ভালো খেলবে এমন আশায় বুক বাঁধে কোটি ক্রিকেট ভক্ত।
এবার বিপিএলের ষষ্ঠ আসরও শুরু হয়েছিল এমন প্রত্যাশা নিয়ে। প্রতিবারের মতো প্রত্যাশাটা একটু বেশিই থাকে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর মাশরাফি বিন মুর্তজার উপর। পঞ্চপাণ্ডব খ্যাত দেশের এই পাঁচ সেরা ক্রিকেটারের উপর ভর করেই যে দণ্ডায়মান রয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেট।
চলতি আসরে বোলিংয়ে প্রথম থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ১০ উইকেট নিয়ে ঢাকা পর্বে সেরা উইকেট শিকারি হিসেবে সিলেটে পা রাখেন তিনি। সিলেট পর্বেও দুই ম্যাচ খেলে দুই উইকেটসহ মোট ১২ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত সেরা বোলারের তালিকায় তিনে রয়েছেন রংপুর রাইডার্সের দলনেতা।
মাশরাফি বিন মুর্তজা
এদিকে ব্যাটে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মুশফিকুর রহিমও। ঢাকা পর্বে একটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৪ ম্যাচে করেছিলেন ১৩৯ রান। ফর্ম ধরে রেখেছিলেন সিলেটেও। সেখানেও খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ৫২ রান করে দুই পর্ব শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তৃতীয়তে রয়েছেন চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক।
মুশফিকুর রহিম
তবে ঢাকায় প্রথম পর্বে হতাশ হতে হয়েছিল সাকিব, তামিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। অবশেষে সিলেটেই রানে ফিরেছেন এই তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
শুরুটা হয় বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের হাত ধরে। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ৬১ রান ও ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার নিজের করে নেন ঢাকা ডায়নামাইটসের এই অধিনায়ক।
সাকিব আল হাসান
একই দিনে দ্বিতীয় ম্যাচেই সাকিবকে ছাড়িয়ে যান তামিম ইকবাল। ঢাকায় প্রথম পাঁচ ম্যাচে দুই শূন্যসহ করেছিলেন মাত্র ৬০ রান। সিলেটে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ৭৩ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দেশ সেরা এই ওপেনার।
তামিম ইকবাল
ঢাকা পর্বে কোনও ম্যাচ না জেতা খুলনা টাইটানসের ভাগ্য ফিরেছিল সিলেটে। ভাগ্য ফেরে টাইটানস অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেরও। দ্বিতীয় পর্বের শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। যদিও চিটাগাং ভাইকিংসের দেয়া ২১৪ রানের লক্ষ্য টপকাতে পারেনি দক্ষিণাঞ্চলের দলটি।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ
সিলেটে ফেরা এই ফর্ম আসরের বাকি সময় কতটুকু ধরে রাখতে পেরে সমর্থকদের কতটা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আরো পড়ুন:
এস/এমআর
মন্তব্য করুন