তামিমের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, রানের পাহাড় বাংলাদেশের
আজকে লিটন দাস পারেননি, পেরেছেন তামিম ইকবাল। গত ম্যাচে শত রানের ইনিংস খেলা লিটন সাজঘরে ফেরেন ৯ রানের মাথায়। রান আউট হয়ে। এরপর তামিমের ভুলে নাজমুল হোসেন শান্তকেও ৬ রান করে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরতে হয় সাজঘরে। দলীয় ৬৫ রানে নেই স্বাগতিক দলের দুই উইকেট।
এরপর তামিম-মুশফিকের জুটি যোগ করে ৮৭ রান। মুশফিক অর্ধশতক তুলে বিদায় নেন ৫৫ রান করে। ততক্ষণে বাংলাদেশের স্কোর-বোর্ডে যুক্ত হয় ৩ উইকেটে ১৫২ রান।
মুশফিক থেমে গেলেও চতুর্থ জুটিতে মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে তামিম তুলে নেন ১০৬ বলে ক্যারিয়ারের ১২তম শতক। দীর্ঘ ২৩ ম্যাচ পর সেঞ্চুরির দেখা দেশসেরা এই ওপেনারের।
শতকের সঙ্গে নিজেকে নিয়ে যান ৭ হাজার রানের ক্লাবেও। একদিনের ক্রিকেটে এই মাইলফলক স্পর্শ করতে তামিমকে খেলতে হয়েছে ২০৬ ম্যাচে ২০৩ ইনিংস।
তামিমের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৫৭ বলে ৪১ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তামিম-রিয়াদের চতুর্থ জুটি ভাঙ্গে ১০৬ রানে দলীয় ২৫৮ রানের মাথায়।
বড় সুযোগ ছিল ক্যারিয়ারের প্রথম দুইশত রানের ইনিংস খেলার। তবে থামলেন ১৫৮ রানে। এতেও নিজেকে ছাড়িয়ে যান এই বাম-হাতি ওপেনার। ২০০৯ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল।
শেষদিকে মোহাম্মদ মিঠুনের অপরাজিত ৩২ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ৩২৩ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় জিম্বাবুয়ের সামনে।
সফরকারীদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কার্ল মুম্বা ও ডোনাল্ড টিরিপানো, ১টি করে উইকেট নেন চার্লটন শুমা আর ওয়েসলে মাধভেরে।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, তাইজুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলামের।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
শন উইলিয়ামস (অধিনায়ক), থিনাসে কামুনহুকামওয়ে, ব্রেন্ডন টেইলর, রিচমন্ড মুতুম্বামি, রেগিস চাকাভা, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলে মাধেভেরে, তিনোটেন্ডা মুতোমবোদজি, চার্লটন শুমা, কার্ল মুম্বা ও ডোনাল্ড টিরিপানো।
ওয়াই
মন্তব্য করুন