সতীর্থদের ঝাড়ি দিতে শিখেছেন মুমিনুল
মাঠে মুমিনুল হককে সব সময়ই দেখা যায় গম্ভীর। অর্ধশতক কিংবা শতক হাঁকালেও খুব সময়ই হাসতে দেখা গেছে বর্তমান টাইগার দলপতিকে। খুব বেশি দেরি হয়নি অধিনায়কত্বের ভার নিয়েছে। দায়িত্ব পাবার পর টানা তিন ম্যাচেই হেরেছেন। যদিও প্রতিপক্ষ ছিল ভারত, পাকিস্তানের মতো দুই শক্তিশালী দল।
হারের পর মন খুলে কথা না বলতে পারাটাই স্বাভাবিক। টানা হারের পর জয় ধরা দিলো টাইগার শিবিরে। জিম্বাবুয়েকে ১০৬ রান ও ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে মুমিনুল হকের দল।
মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
উঠে এসেছে অনেক কথাই। দলে তামিম ইকবাল মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞরা যেমন রয়েছেন, তেমনই সাইফ হাসান, নাঈম হাসানদের মতো তরুণ খেলোয়াড়রাও আছেন।
কিন্তু মুমিনুল এখন ছোট-বড় সবারই অধিনায়ক। সমান ভাবে দেখতে হয় দলের সবাইকে। সবকিছু মিলিয়ে তার স্বস্তি কতটা অধিনায়কত্ব নিয়ে?
‘আসলে স্বস্তি না ঠিক। দল যেভাবে কাজ করবে, যেমনটা হওয়া উচিত সেভাবে। মানে খেলোয়াড়রা দল হিসেবে কিভাবে কাজ করবে কিভাবে খেলবে সেই জিনিসটা আমি সবসময় দেখতে চাইছিলাম। এটা আমি ফিল করতে চেয়েছিলাম।’
মাঠে অধিনায়কত্ব করতে গেলে সবাইকে সমান ভাবে দেখতে হয় অধিনায়ক মুমিনুলকে। তাই কঠোর হবারও চেষ্টা করছেন, ঝাড়িও দিতে হয় সতীর্থদের।
‘আমার অধিনায়কত্ব শুরু হয়েছিল বিসিএল, এনসিএল দিয়ে। ওই জায়গায় প্রথম প্রথম এরকমই ছিলাম পরে দেখলাম যে না, জিনিসটা পরিবর্তন করতে হবে। যারা মাঠে থাকে তারা জানে। একটু এগ্রেসিভ, কঠোর থাকতে হয়। রুড না ঠিক, এগ্রেসিভ থাকতে হয় আরকি। সবাইকেই ঝাড়ি মারি।’ হেসে উত্তর দিলেন সাদা পোশাকে বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ওয়াই
মন্তব্য করুন