স্বপ্ন পূরণ হয়েছে সাইফের
বাংলাদেশ ক্রিকেটের উদীয়মান তারকাদের একজন সাইফ হাসান। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকেই তাকে বিশেষ নজরে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। যার সুবাধে জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন খুব দ্রুতই।
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট দলে জায়গা হলেও চোটের কারণে খেলা হয়নি সাইফের। তবে অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিদিন। পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দলে জায়গা হয়েছে এই ডান-হাতি ওপেনারের।
রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টের একাদশেও সুযোগ পান সাইফ। তবে ব্যর্থ হয়েছেন। অভিষেক টেস্টে প্রথম ইনিংসে ‘শূন্য’ আর পরের ইনিংসে করেন ১৬ রান।
বুঝে ওঠার আগেই ঝরে পড়ার শঙ্কা, তবে সেই শঙ্কা আপাতত নেই সাইফের। বাংলাদেশ দলের পুরনো রীতি পরিবর্তন হয়েছে। খারাপ খেললেও প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
‘যেখানেই খেলেন না কেন, যদি ২-৩ ম্যাচ খারাপ করেন আপনাকে কিন্তু ড্রপ দেয়া হয়। আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি পারফরম্যান্স ম্যাটার করে। ভালো খেললে জায়গাটা হবে। খারাপ খেললে বেরিয়ে যেতে হবে।’
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসটা বড় করার আভাস দিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু নাসিম শাহ’র বলটা বুঝে ওঠার আগেই বোল্ড হয়ে যান ২১ বছর বয়সী এই ওপেনার। সাইফ স্বীকার করছেন, মনোযোগ কম ছিল বলেই।
‘প্রথম ইনিংসে নাভার্স ছিলাম। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো সমস্যা হয়নি। সবাই খুব হেল্পফুল ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য, বলটা নিচু হয়েছিল। আরেকটু ফোকাস থাকলে হয়ত বলটা ম্যানেজ করতে পারতাম কোনোভাবে। আরও ফোকাস লেভেল বাড়াতে হবে মনোযোগ বাড়াতে হবে।’
সাইফের অভিষেক ম্যাচ এমন বিবর্ণ হলেও একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। সেটা দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং করাটা।
‘ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল তামিম ভাইয়ের সঙ্গে ওপেন করব। তো সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন ক্যারিয়ারটা লম্বা করতে হবে। যদি ভালো খেলি সেই সুযোগ বেশি থাকবে।’
পাকিস্তানের সঙ্গে ইনিংস ব্যবধানে হেরে আসলেও অনেকের ধারণা জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে আবারও পুরনো রূপে ফিরবে টাইগার ক্রিকেট। তবে সাইফ সমীহ করছেন প্রতিপক্ষকে।
‘আসলে কোনো দলকেই ছোট করে নেয়ার কিছু নেই । কিন্তু যদি আমরা প্রক্রিয়ায় ঠিক থাকি বেশ ভালো কিছু হবে। তেমন ছোট করে নেয়ার কিছু নেই কোনো দলকে।’
এমআর/সি
মন্তব্য করুন