দুই দলের বোলারদের পার্থক্য তুলে ধরলেন মিঠুন
প্রায় এক মাস ধরে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হবার পর বড় ফরম্যাটের সিরিজেও একই দশা হবার দ্বারপ্রান্তে সফরকারীরা। প্রথম দুই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয়েছিল সাকিব-মুশফিকবিহীন বাংলাদেশ দলকে। যদিও টাইগারদের নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সিরিজের শেষ ম্যাচে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। অন্যদিকে তৃতীয় ম্যাচে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে একাদশে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
সফরে শেষ ম্যাচ খেলতে বুধবার ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। আগামী শনিবার হ্যাগলে ওভালে বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
প্রথম দুই ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ইনজুরির কারণে তৃতীয় ম্যাচে খেলতে পারেননি। মোহাম্মদ মিঠুন। তবে প্রথম টেস্টে ছিলেন বিবর্ণ। দুই ইনিংসে করেছিলেন যথা ক্রমে ৮ ও ০ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন যথাক্রমে ৩ ও ৪৭ রান এমন অবস্থায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডান-হাতি এই ব্যাটসম্যান।
-------------------------------------------------
আরও পড়ুন : প্রস্তুতির ঘাটতি নিউজিল্যান্ডে হারার কারণ: জালাল ইউনুস
-------------------------------------------------
হাতে গোনা কয়েকজন ব্যাটসম্যান কিছু রান পেলেও বোলাররা কোনো ভাবেই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। গেল এক মাস ধরে যে বিষয়টি বারবার সামনে আসছিল সে বিষয়টি ফের সামনে নিয়ে আনলেন মিঠুন। মিঠুন কথা বলেছেন কন্ডিশনের সঙ্গে মানাতে না পারার বিষয়ে।
তার মতে, ওয়ানডে বোলারা যেভাবে বল করে টেস্টে পুরোটাই ভিন্ন পরিকল্পনা থাকে। সত্যি কথা বলতে আমাদের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার মতো যথেষ্ট সময়ও ছিল না। পাশাপাশি ওরা (নিউজিল্যান্ড) যেভাবে অ্যাটাক করেছে বা বল করছে আমরা সে ধরনের বোলার আগে ফেস করিনি।
বাংলাদেশে এমন উইকেট তৈরি হলে এমন বাজে পারফরম্যান্স হয়তো নাও হতে পারত। এমটা মনে করেন না মিঠুন। তার মতে অভিজ্ঞতাই দুই দলের বোলারদের পার্থক্য তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এই ধরনের উইকেট আমাদের দেশে তৈরি করাটা কঠিন। শুধু উইকেট তৈরি করলেই নয় এরকম বোলারও দরকার। পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি দরকার। আমাদের এত অভিজ্ঞ টেস্ট বোলার নেই। আমাদের যদি অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকে। এমন অভিজ্ঞ হয়ে কেউ আসতে পারে হয়তো আমাদের বোলিং অ্যাটাকটাও এমন হবে।
ওয়ানডেতে অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে সেরা পারফরম্যান্স ছিল মিঠুনের। অন্যদিকে টেস্টে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। মুশফিক একাদশে ফিরে আসলে বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই মিডল অর্ডারের।
২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান বলেন, টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে অন্য ফরম্যাটের পার্থক্যটাই এখানে। আপনি কতটা ধৈর্যের সঙ্গে মানসিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে খেলতে পারেন। আমি নিশ্চিত প্রতিটা খেলোয়াড় নিজের শতভাগ দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। আমরাতো গ্রামে খেলছি না পাড়ার ক্রিকেটও খেলছি না, আমরা খেলছি দেশের হয়ে। এখানে সবাই নিজের সেরাটাই দেয়। আমাকে জিজ্ঞাস করলে আমি বলবো, শতভাগ কমিটমেন্ট ছিল আমার ভালো করার। সব ভাবেই চেষ্টা করেছি। তবে যতটুকু আশা করেছি ততটা হয়নি।
আরও পড়ুন
ওয়াই
মন্তব্য করুন