দুর্দান্ত শুরুর পরও বড় লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
পাওয়ার-প্লেতেই শেষ রোহিত শর্মা-শিখর ধাওয়ান। একবার ভাবুন, এই জুটি দশ ওভার পর্যন্ত খেললে কেমন হতে পারত ভারতের স্কোর-কার্ডের চেহারা! সেখানে পাওয়ার-প্লের ছয় ওভারে ভারতের ছিল ২ উইকেটে মাত্র ৪১ রান।
ইনিংসের প্রথম ওভারে আল-আমিন ৩ রান দেন। পরের ওভারে শফিউল ইসলামের বলে পেরে উঠতে পারেননি গত ম্যাচে ৮৫ রান করা রোহিত। ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাত্র ২ রান করে।
পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আবারও শফিউলের শিকার। ১৯ রান করা শিখর ধাওয়ান ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসে লোকেশ রাহুল পুষিয়ে দিলেন রোহিত-শিখরের ব্যর্থতাকে। শ্রেয়াস আয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ৩৩ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। যদিও ৫২ রান করে ক্যাচ দেন আল-আমিনের বলে।
এরপর শ্রেয়াস আয়ার আক্রমনাত্নক হয়ে উঠেন মোস্তাফিজ-আফিফদের উপর। আফিফের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে টানা তিন ছয় হাঁকান শ্রেয়াস।
শফিউলের করা ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে দেয়া শ্রেয়াস জীবন পেয়ে করেন ৩৩ বলে ৬২ রান। শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকারের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। একই ওভারের প্রথম বলে রিষাব পন্থকে বোল্ড করেন সৌম্য।
তবে শেষদিকে মনিষ পান্ডের ১৩ বলে ২২ রানে ভর করে ১৭৪ রান তুলে স্বাগতিকরা।
আল-আমিন নেন ৪ ওভারে ২২ রানে ১ উইকেট। শফিউল ৪ ওভারে ৩২ রান দিলেও নেন ২ উইকেট, ছিল ১টি মেডেন ওভারও। সৌম্য ৪ ওভারে ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজ, ৪ ওভারে ৪২ রান দিলেও ছিলেন উইকেট শূন্য।
এমআর/
মন্তব্য করুন