দিল্লির দূষণে বমি করেছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার
দিল্লিতে চলছিল পাবলিক ‘হেলথ ইমার্জেন্সি’। ভারতের রাজধানীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় স্থানীয় প্রশাসন। পুরো শহরে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের জন্য ফ্রিতে দূষণ প্রতিরোধক মাস্ক দেয়া হচ্ছিল। ঠিক এমন একটা সময়ে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ম্যাচটি না খেলানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। যদিও স্বাগতিক দলের পক্ষ থেকে কোনও কিছু না বলা হলেও বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেখা যায় মাস্ক পরে অনুশীলন করতে। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিসিসিআই) নব নিযুক্ত সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। সেদিন দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল সাতশোর বেশি। বাতাসের গুণমান নির্ধারক সূচক দেখে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছিল, স্বাস্থ্যের উপরে ভয়ানক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এই দূষণ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ মাঠে গড়ায়।
মাঠে নেমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দেয় বাংলাদেশ দল। দিল্লির দূষণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা।
ম্যাচ জয়ের অন্যতম ভূমিকা রেখেছিলেন সৌম্য সরকার। ৩৫ বলে ৩৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যান। ভারতের গণমাধ্যমগুলোর মতে ওই ম্যাচ চলাকালীন দুজন বাংলাদেশি খেলোয়াড় দূষণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি বমিও করেছেন তারা। এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন সৌম্য। অপরজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
ম্যাচে ৪৩ বলে ৬০ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। দূষণ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেই খেলতে হয়েছিল। ভারতে এসে পৌঁছানোর পর থেকেই আমাদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়, তবু আমরা খারাপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করেই ম্যাচের দিন নিজেদের উজাড় করে দিই।’
অন্যদিকে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি দিল্লির দুঃসহ দূষণ পরিস্থিতির মধ্যেও ম্যাচে অংশ নেয়া দুই দলকেই ধন্যবাদ জানান। টুইটে তিনি বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে খেলায় অংশ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ দুই দলকেই। সাবাস বাংলাদেশ।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন