নারী ফুটবলারদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখছেন কলম্বিয়ান প্রশিক্ষক
বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের মধ্যে যথেষ্ট সম্ভাবনা দেখছেন কলম্বিয়ান প্রশিক্ষক জেসিকা হার্তাদো। যা বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের মাধ্যমে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। আর নানারকম আয়োজনের ধারাবাহিকতায় বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের উদ্বোধন ও সমাপনীতেও আকর্ষণ থাকবে বলে জানালেন, বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
ছয় জাতীরা নারীদের নিয়ে এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নানান আয়োজনে মুখর ফুটবল অঙ্গন। তার ধারাবাহিকতায় এবার জাতিসংঘের শিশু সুরক্ষা বিষয়ক সংস্থার (ইউনিসেফ) সঙ্গে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে বাফুফে টার্ফে ফুটবল উৎসবে মাতলো নারী ফুটবলাররা। সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুকে থাকলেন, কলম্বিয়ার ফুটবল দলের তারকা জেসিকা হার্তাদো ও ক্যাথরিন ফ্যাবিওয়ালা।
জাতীয় দলের সঙ্গে প্রীতি ফুটবল খেলে নিজেদের মধ্যে ফুটবলার বাসনাকে তেজদীপ্ত করলেন বঞ্চিত শিশুরা। আর এমন উদ্যেগের অংশীদার হতে পেরে উৎফুল্ল কলম্বিয়ান অতিথিরা।
কলোম্বিয়ার হয়ে নারী বিশ্বকাপ খেলেছেন ক্যাথরিন। বর্তমানেও জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। অন্যদিকে দেশটির হয়ে অলিম্পিক ফুটবলে অংশ নেয়া জেসিকা বিশ্বের নানা প্রান্তে নারী ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
জেসিকা বলেন, বাংলাদেশের মেয়েদের খেলা দেখে আমি বিস্মিত। ক্যাথরিন আমাকে বলছিল, কৌশলগতভাবে মেয়েরা বেশ এগিয়ে রয়েছে।
বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট উপলক্ষে নিজেদের চারদিনের সফরের শেষ দিনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান কে-স্পোর্টসকে। নারী ফুটবলের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যোগ দেয়ায় বেঙ্গল মিডিয়ার করপোরেশনকেও (আরটিভি) ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।
জেসিকা আর বলেন, বাংলাদেশে এসে সম্মানিত বোধ করছি। মেয়েদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে ভালো লেগেছে।
ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে এমন উৎসব অব্যাহত রাখার আশা জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থাটির। ইউনিসেফ বাংলাদেশের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইফতেখার আহমেদ বলেন, এই ধরনের মিথস্ক্রিয়া সাধারণত হয় না। এটা তাদের জন্য একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। এই ইভেন্টের জন্য তাদের (সুবিধা বঞ্চিত শিশু) অনেক ধরনের উৎসাহ যোগাবে।
ফুটবলারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করার পাশাপাশি বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টকে মাঠে নামানোর প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন বলে জানালেন, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।
আবু নাঈম সোহাগ বলেন, নারী ফুটবল যেহেতু তাদের নিরাপত্তা, ভিসা, যাতায়াত, থাকার ব্যবস্থা, অনুশীলনের আয়োজন সব কিছু যার যার জায়গা থেকে ভাগ করে নেয়া হয়েছে। যাতে আমরা সুন্দর করে বিশ্বমানের একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারি। এরই মধ্যে একটি শক্তিশালী নয় সদস্যের একটি লোকাল আয়োজক কমিটি তৈরি করেছি।
বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ গোল্ডকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব ফুটবলের শাসক সংস্থা ফিফা অথবা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন থেকে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আসবেন।
সমাপনীতেও থাকছে বিশেষ আকর্ষণ বলে জানান তিনি।
অভিজ্ঞতা বিনিময়ের এ উৎসব দিয়ে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ অন্যমাত্রার আলোড়ন তুলবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
ওয়াই
মন্তব্য করুন