বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ২০২০
ইউরোপের অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশ আসছে মরিশাস
ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মরিশাস। বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ প্রেমীদের কাছে দেশটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের এবারের আসরে ‘বি’ গ্রুপে অংশ নিচ্ছে দলটি। গ্রুপে অপর প্রতিপক্ষ বুরুন্দি ও সেশেলস। আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্গত তিনটি দলের ফুটবলই বাংলাদেশের কাছে বেশ অপরিচিত। ফিফা র্যাংকিংয়ে মরিশাসের অবস্থান ১৭২। দেশটিতে দীর্ঘদিন শাসন করেছে হল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। স্থানীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি ফ্রেঞ্চ বংশোদ্ভূতরাও রয়েছেন জাতীয় দলে। স্থানীয় বিভিন্ন দল ছাড়াও ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, গ্রিস, রোমানিয়ার বিভিন্ন ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে দলটির খেলোয়াড়দের।
আদেল ল্যানগু মরিশাসের মিডফিল্ডার। স্বদেশী ক্লাব সার্কেল ডি জোয়াকিমে সিনিয়র লেভেলের ফুটবল শুরু করেন ২০১৪ সালে। পরের বছর জায়গা করে নেন জাতীয় দলে। চার বছর কিউরপাইপ শহরের ক্লাব সার্কেল ডি জোয়াকিমের হয়ে খেলা চালিয়ে যান। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো সুযোগ আসে ফ্রান্সের লিগ টুয়ের দল প্যারিস এফসির হয়ে খেলার। একই বছর স্প্যানিশ লা লিগার দল ডিপোর্তিভো আলাভেসের হয়ে নিজের নাম লেখান আদেল ল্যানগু।
মরিশাস অনূর্ধ্ব ১৭ দলে ২০০৮ সালে খেলেন লিনসডে রোজ। প্রতিভাবান এই সেন্টার ব্যাক ফ্রান্সের জার্সিতে অনূর্ধ্ব ১৮, ১৯ ও ২১ দলে খেলেছেন। অপেক্ষায় ছিলেন ফ্রান্সের জাতীয় দলে অভিষেকের। যদিও শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন স্বদেশে। ২০১৮ সালে মরিশাসের হয়ে খেলতে নামেন রোজ। এছিল জাতীয় পর্যায়ের ফুটবলের তথ্য। ক্লাব পর্যায়ে লেভাল, ভ্যালেনসিয়েনেন্স, অলিম্পিক লিও, লরিয়েন্ত ও বাস্তিয়ার মতো ফ্রেঞ্চ দলের হয়ে খেলেছেন। সম্প্রতি গ্রিক দল আরিসের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছেন ২৭ বছর বয়সী রোজ।
২০০৪ সাল থেকে কেভিন ব্রু খেলেছেন ফ্রান্সের রেনে, দিজো, বোলোগনে, ইস্ত্রেসের মতো দলে। বুলগেরিয়ার লেভেসকি সোফিয়ায় চার বছর মাঠ মাতিয়েছেন এই মিডফিল্ডার। ইংলিশ ক্লাব ইপসউইচ টাউনে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সাইপ্রাসের অ্যাপোলেন লিমাসলের পর বর্তমানে রোমানিয়ান দল ডায়নামো বুকুয়েরেস্টির হয়ে খেলছেন কেভিন। ২০০৭ সালে ফ্রান্স অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে খেললেও ২০১১ সালে নাম লেখান মরিশাস জাতীয় দলে।