স্বদেশের হয়ে না খেলার আক্ষেপ তাহিরের
নিজের দেশের হয়ে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়ানো হয়নি ইমরান তাহিরের তবে ঠিকই সফল হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। সময়ের সেরা লেগ স্পিনারদের একজন হয়ে উঠেছেন এই বর্ষীয়ান ক্রিকেটার।
ইমরান তাহিরের জন্ম ১৯৭৯ সালে লাহোরে। এখানেই বেড়ে ওঠা তার। ব্যাটে-বলের নেশায় পেয়ে বসা তাহির খেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে অনূর্ধ্বর-১৯ দলে, খেলেছেন পাকিস্তান ‘এ’ দলের হয়েও।
কিন্তু যেতে পারেননি সর্বোচ্চ ধাপে। অর্থাৎ, খেলা হয়নি পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে। ৪২ বছর বয়সী তাহির অবসরে যাওয়ার পরও এই আক্ষেপটা তাড়িয়ে বেড়ায় এখনও।
পাকিস্তানি একটি চ্যানেলে হতাশা ব্যক্ত করে তাহির বলেন, আমি লাহোরে খেলতাম। এরপর বয়সভিত্তিক দলে খেলেছি পাকিস্তানের হয়ে। আমার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছি পাকিস্তান কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে খেলতে না পারায় আমি হতাশ হয়েছি।
পাকিস্তানের হয়ে যখন উপেক্ষিত হন তখন পাড়ি জমান দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান এক মেয়ে সুমাইয়া দিলদারের প্রেমে পড়েন, তাকেই করে নেন জীবন সঙ্গী। সেই সুমাইয়ার অনুপ্রেরণায় আবারও নিজেকে ফিরে পান ভিন্ন দেশের হয়ে বাইশ গজে।
স্ত্রী সুমাইয়াকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেটকে ছেড়ে যাওয়া আমার জন্য অনেক কষ্টের ছিল। তবে ছেড়ে যাওয়াটা আমাকে বদলে দিয়েছে আর বদলে যাওয়ার পেছনে কৃতিত্বটা আমার স্ত্রীর।
ইমরান তাহির আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন ২০১১ বিশ্বকাপ দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেয়ার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি ইমরান তাহিরকে।
এরপর প্রোটিয়াদের হয়ে খেলেছেন আরও দুটি বিশ্বকাপ। ওয়ানডে, টেস্ট থেকে অবসরের আগ পর্যন্ত ১০৭ ওয়ানডে ও ২০টি টেস্ট খেলেছেন তিনি তবে, এই দুই ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও টি-টোয়েন্টি খেলে যেতে চান আরও কিছুদিন।
আরও পড়ুন: শেষ টেস্টের দলে ফিরেছেন আর্চার, এন্ডারসন, উড
এমআর/
মন্তব্য করুন