দিনটি মনে রাখতে চাইবে না ব্রাজিল
‘মুহূর্তটা ছিল অদ্ভুত। আমাদের জন্য, সমর্থকদের জন্য, সবার জন্য। আসলে ব্যাখ্যা করার মতো না। চুপ ছিলাম।’ দীর্ঘশ্বাস ফেলে ২০১৪ বিশ্বকাপে ৮ জুলাই জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচ হারার অনুভূতি বর্ণনা করেছিলেন ওই ম্যাচে ব্রাজিলের হয়ে গোলরক্ষকের ভূমিকায় থাকা জুলিও সিজার।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ চলাকালে বাংলাদেশ ভ্রমণ করেছিলেন সিজার। ফিফার কিংবদন্তি হিসেবে এই সফর করার সময় বাফুফে কার্যালয়ে সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সেলেকাওদের জার্সিতে ৮৭ ম্যাচ খেলা এই তারকা।
বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে সফর করলেই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাকে। কারণ ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম দলটি নিজেদের ঘরের মাঠে এত বাজেভাবে হারবে সেটি কল্পনাও করতে পারেনি কেউই।
সাত সাতটি গোল হজমের পর সেই দুঃসহ রাতের স্মৃতি বর্ণনা করতে গিয়ে জুলিয় সিজার বলেন, ‘তখন আমার মাথায় আসে, অনেক তরুণ রয়েছে আমাদের দলে। এখানেই থেমে থাকলে হবে না। তাদের জন্য ভালো কিছু করতে হবে। পুরো দল একেবারেই নিশ্চুপ ছিল। এরপর তৃতীয় স্থানের ম্যাচ ছিল নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে। আসলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়া।’
বুট-গ্লাভস তুলে রাখলেও বিশ্বের নানা প্রান্তে ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। প্রথমবারের মতো এসেছিলেন বাংলাদেশে। ৮ জুলাইয়ের বেলো হরিজন্ত নিয়ে প্রশ্ন যখনই করা হতো বিরক্ত হতেন তিনি। তবে এটা যে খেলার অংশ দিনের পর দিন তিনি বুঝতে পেরেছেন।
বাংলাদেশ সফরে নারী ফুটবলারদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন জুলিও সিজার
ব্রাজিলের জার্সিতে দুটি কনফেডারেশন কাপ, একটি কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ী তারকা বলেন, ‘ম্যাচ শেষ হতেই ড্রেসিং রুমে আমাদের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট (দিলমা রৌসেফ) এসেছিলেন। ফুটবলে এমন হতেই পারে। এখানেই থামলে চলবে না। সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এমনটাই বলেছিলেন তিনি।’
২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপের গোল পোস্ট সামলেছেন। বেনফিকা, কুইনস পার্ক রেঞ্জার ও ফ্লেমেঙ্গোর হয়ে খেলেছেন। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় ছিলেন ইন্টার মিলানে। ইতালির দলটির হয়ে ২২৮ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। ২০০৯/১০ ট্রেবল জেতার রেকর্ড রয়েছে সিজারের নামের সঙ্গে।
ওয়াই
মন্তব্য করুন