স্পোর্টস অ্যালায়েন্সের প্রথম বাংলাদেশি মহাসচিবকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন
জাতিসংঘের সহযোগী সংগঠন ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যালায়েন্সের (ডব্লিউএসএ) মহাসচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. জাহিদ হক। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই পদে নিয়োগ পাওয়ায় জাহিদ হককে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
মঙ্গলবার অভিনন্দন বার্তায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অধ্যাপক ড. জাহিদ হককে ডাব্লুএসএ’র মহাসচিব পদে মনোনীত করায় আমি আনন্দিত ও গর্বিত। আমি আশা করি, তার এই দায়িত্ব প্রাপ্তির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যালায়েন্সের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। দেশের ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যাবে। আমি ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যালায়েন্স ও আন্তঃসরকারী সংস্থার (আইজিও) ক্ষেত্রে তার নতুন অবস্থানের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে তাকে অভিনন্দন জানাই এবং পরবর্তী দিনগুলিতে তার সাফল্য কামনা করি।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, তার এই সম্মানজনক কৃতিত্বের জন্য এবং বাংলাদেশের কৃতি সন্তান হওয়ায় আমরা অত্যন্ত গর্বিত। তার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ক্রীড়া কূটনীতি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন।
পেশায় একজন দক্ষ কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসাবে অধ্যাপক ড. জাহিদ পিএইচডি, ডি.লিট, ডি এসসি, এফএএফপি (যুক্তরাষ্ট্র), এফআরএসপিএইচ (যুক্তরাজ্য) এর মতো সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেন।
জাহিদ হক এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য ডাব্লুএসএর সিনিয়র উপদেষ্টার হিসেবে কাজ করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উপদেষ্টা বা সিনিয়র গভর্নিং বডির সদস্য হিসাবে অনন্য অবদান রেখে চলেছেন।
আসিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকের চ্যান্সেলর, আসিয়ান অঞ্চলের জন্য ব্রিটিশ আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা, ফ্লোরিডা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এশিয়ার প্রধান সমন্বয়ক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক জাহিদ হক একজন গবেষক, কলাম লেখক এবং একজন একনিষ্ঠ মানবকর্মী। বিশ্বজুড়ে মানবিক কাজে দ্ব্যর্থহীন,স্পষ্ট ও সক্ষম প্রচেষ্টার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সরকার থেকে তাঁকে সর্বোচ্চ ও বিরল সম্মান প্রদান করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
তিনি সেন্ট জন থেকে নাইট কমান্ডার উপাধি, দাতো 'এবং দাতো' সেরি হিসাবে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন এর রাজপ্রাসাদ হতে রাজকীয় উপাধি প্রাপ্ত হন। অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিবার্টিজের সর্বোচ্চ মানবাধিকার সম্মান ও মহাত্মা গান্ধী সন্মাননা ও রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম সন্মাননায় ভূষিত ও আখ্যায়িত হন।
ওয়াই
মন্তব্য করুন