ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
নগরীজুড়ে লালের অধিপত্য
ইংল্যান্ডে এই পর্যন্ত ৩ লাখ ৭ হাজার ৯৮০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৪৩ হাজার ২৩০ জনের। ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে মৃতের তালিকায় তৃতীয় ও আক্রান্তের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দেশটি। যদিও লিভারপুলের রাস্তায় হাজারো সমর্থকের উল্লাস দেখে মনে হবে না এত বড় বিপর্যয়ের মধ্যে যাচ্ছে তারা।
এমন উদ্দীপনার কারণ হচ্ছে, তিন দশক পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করলো লিভারপুল ফুটবল ক্লাব। বৃহস্পতিবার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে চেলসি। সিটিজেনদের এই হারে পয়েন্ট ব্যবধানে ঢের এগিয়ে থাকায় ১৯৯০ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়ন হতে বাধা নেই অলরেডদের।
দক্ষিণ লন্ডনের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ স্টেডিয়ামে চেলসি জয় পেলেও মূল উদযাপনটা হয়েছে ২৮৭ মাইল দূরে লিভারপুলের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডের বাইরে।
এদিন ম্যাচের ৩৬ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিকের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। গোল শোধে মরিয়া সফরকারী ম্যানসিটি বিরতি থেকে ফিরে কেভিন ডি ব্রুইনের অসাধারণ ফ্রি-কিকে সমতায় ফেরে।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে ট্যামি আব্রাহামের শট ফের্নানদিনিয়োর হাতে লাগে। ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারির (ভিএআর) সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। উইলিয়ানের সফল কিকে চেলসির জয় নিশ্চিত হয়।
এ হারে শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে যায় ম্যানসিটি। চূড়ান্ত হয়ে যায় ২০১৯-২০ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ভাগ্য। শিরোপা নিশ্চিত হয় লিভারপুলের। বাকি ৭ ম্যাচের প্রতিতে জয় পেলেও কোনওভাবে লিভারপুলের ৮৬ পয়েন্ট ছোঁয়া সম্ভব না দ্বিতীয় স্থানে থাকা পেপ গার্দিওলার দলের পক্ষে।
অন্যদিকে অ্যানফিল্ডের বাইরে শিরোপা উল্লাসে মেতে উঠে লিভারপুলবাসী। ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমের এই বাণিজ্যিক শহরের বসবাসকারী নিজেদের দলকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে আসে ঘরের মাঠের সামনে। লাল মশাল ও লাল পতাকার দখল ছিল নগরজুড়ে।
৩১ ম্যাচ খেলে ৮৬ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে চ্যাম্পিয়ন দল লিভারপুল। সমাস সংখ্যক ম্যাচ খেলে ম্যানচেস্টারের দলটির সংগ্রহ ৬৩ পয়েন্ট। এদিকে ৩১ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নম্বরে রয়েছে লেস্টার সিটি।
২০০২ সালে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপায় চুমু খেয়েছিল স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে জুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। জার্মান কোচের অধীনে ৭ ম্যাচ বাকি থাকতেই ইংলিশ লিগ নিজেদের করে নিলো মোহাম্মদ সালাহ-সাদিও মানেরা।
ওয়াই
মন্তব্য করুন