যে সিনেমা দেখে কাঁদলেন নেইমার
কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব না মেনে সময় কাটানোর কারণে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন নেইমার। করোনা প্রকোপে দুস্থদের পাশে দাঁড়াননি তাই দুয়ো শুনতে হয়ে হয়েছিল তাকে। যদিও সব কিছুর জবাব ঠিকই দিয়েছেন ব্রাজিল ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা।
লিগ ওয়ান স্থগিত হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ফ্রান্স থেকে উড়ে এসেছিলেন ব্রাজিলে। সবারই দফায় দফায় টেস্ট করিয়েছিলেন। তাই সাওপাওলোতে এসে পরিবারের কাছে যাওয়ার আগে এক সঙ্গেই ছিলেন তারা।
অন্যদিকে ব্রাজিলের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য ঠিকই বড় অনুদান দিয়েছিলেন। নিজে সেটি সামনে আনতে চাননি। যদিও দেশটির গণমাধ্যম শেষ পর্যন্ত তা প্রকাশ করে দেয়।
নেইমারের দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ২৫ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। এমন অবস্থায় সুরক্ষিত অবস্থায় আছেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) তারকা।
বাসায় থেকে কখনও অনলাইনে করোনা সচেতনতামূলক ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন নেইমার। আবার স্মৃতি রোমন্থন করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে।
সময় কাটছে সিনেমা দেখেও। অনলাইন স্ট্রিমিং সাইট নেটফ্লিক্সে তুরস্কর একটি সিনেমা দেখার পর আবেগীও হয়ে পড়েছেন ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
‘মিরাকেল ইন সেল নম্বর সেভেন’ দেখতে গিয়ে একটি ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করেন নেইমার।
তিনি লিখেছেন, ‘যাদের সন্তান আছে তারাই বুঝতে পারবেন আমি কেমন অনুভব করছি।’
আসলে নেইমারের মন খারাপের কারণও রয়েছে। ১৯ বছর বয়সে সন্তানের বাবা হয়েছিলেন তিনি। সাবেক বান্ধবীর কোলজুড়ে জন্ম নিয়েছিল ছেলে ডাভি। দীর্ঘদিন ধরে প্রিয় সন্তানের দেখা পান না তিনি।
নেইমার আরও লিখেছেন, ‘আমি বাচ্চাদের মতো কান্না করে দিয়েছি।’
মেহমেদ আদা ওজতেকিনের পরিচালনায় এই সিনেমার মূল গল্পটি হচ্ছে মানসিকভাবে অসুস্থ এক বাবা ও তার ছোট্ট মেয়ের। দোষ না থাকা স্বত্বেও ফাঁসির সাজা পেতে হয় ওই বাবাকে।
২০১৯ সালে অক্টোবরে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি একই নামে ছয় বছর আগে তৈরি হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সিনেমার রিমেক।
নতুন সিনেমাটির আইএমডিবির রেটিং ৮.৩। ৯৬ শতাংশ গুগল ব্যবহারকারীরা এটি পছন্দ করেছেন।
ওয়াই
মন্তব্য করুন