২২ গজ থেকে জগতের হিরো যোগিন্দর শর্মা
২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালের শেষ ওভার। পাকিস্তান-ভারত লড়াইয়ের শেষটা জমিয়ে তুলেছিলেন মিসবাহ উল হক আর যোগিন্দর শর্মা। শেষ পর্যন্ত এই ক্রিকেটীয় যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারায় ভারত।
শেষ ওভারে ১৩ রান লাগতো পাকিস্তানের। শেষে ৪ বলে লাগে ৬ রান। নিশ্চিত জেতা ম্যাচ ভেবে মিসবাহ খেলেছিলেন স্কুপ। শর্মার বলে ক্যাচ দিয়ে দলকে ডুবিয়ে দিয়ে যান মিসবাহ। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই যুদ্ধ জয়ের নায়ক ছিলেন এই যোগিন্দর শর্মা।
সেবার নায়ক হলেও আইসিসির চোখে এবার ‘সুপার হিরো’ যোগিন্দর। আইসিসি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে কোলাজ করা একটি ছবিই পোস্ট করেছে। যেখানে একপাশে ২০০৭ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়ার সেই মুহূর্ত আর অন্যপাশে পুলিশের ভূমিকায় শর্মা।
২০১৮ সালে খেলা ছাড়ার পর হরিয়ানা পুলিশে চাকরি নেন তিনি। করোনা ভাইরাস যখন মহামারী রূপ নিয়েছে তখন যোগিন্দর শর্মার সময়ও কাটছে দারুণ ব্যস্ততায়।
ভারতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৫ আর আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮৭ জন। দেশজুড়ে চলছে ২১ দিনের লক-ডাউন। এই সময়ে সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের না হবার জন্য নিতে হচ্ছে কঠোর পদক্ষেপও।
ওই ছবিতে দেখা যায়, হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরে নির্দেশনা দিচ্ছেন যোগিন্দর শর্মা। বড় কর্তা বলে কথা।
আইসিসি ফেসবুকে যোগিন্দরের কোলাজ করা ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছে, ২০০৭: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নায়ক। ২০২০: আসল জগতের নায়ক। পুলিশ হিসেবে ক্রিকেট পরবর্তী ক্যারিয়ারে ভারতের যোগিন্দর শর্মা বিশ্বব্যাপী এই স্বাস্থ্য বিপর্যয়ে নিজের দায়িত্বটুকু পালন করছে।
এমআর/ওয়াই
মন্তব্য করুন