• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘করোনা’ সচেতনতায় তৎপর মাশরাফি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ মার্চ ২০২০, ১৮:৪৩
'করোনা' সচেতনতায় তৎপর মাশরাফি
ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্ক, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বাকি নেই বাংলাদেশও। প্রতিদিনই নতুন করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে একজনের মৃত্যুসহ আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন।

এর জন্য সতর্ক করা হচ্ছে দেশের সব পর্যায় থেকে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজের নির্বাচনী এলাকায় সতর্ক করে চলছেন তিনি। মেনে চলতে অনুরোধ করছেন সব রকমের নিয়ম-কানুন।

গতকাল লোহাগড়ায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বলেন, সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস মহামারী রূপ নিয়েছে। এটা প্রতিরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে, চেষ্টা করতে হবে।’

গত পরশু (বুধবার) নড়াইল জেলা হাসপাতালে বলেছেন, করোনা নিয়ে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে, সচেতন থাকতে হবে আমাদের। বাসার মানুষকে সচেতন করতে হবে। আশপাশে সবাইকে সচেতন করতে হবে। আশা করি তাহলে এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাংলাদেশের সব মানুষ নিরাপদ থাকুক সেই দোয়া করি।

এর বাইরেও করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকার, নিয়ম-কানুন মেনে চলার অনুরোধ ও পরামর্শ দেন নিজের ফেসবুক পেজে।

‘না, এভাবে কাছে আসা যাবে না! না, নিজের পরিচিত কিংবা দূরের কাউকে জড়িয়ে ধরা যাবে না!

যা করা যাবে: নতুন করোনভাইরাস রোগ সম্পর্কে কথা বলুন (কোভিড-১৯)।

যা করা যাবে না: রোগের সাথে এর ভৌগলিক অবস্থান বা জাতিসত্তা সংযুক্ত করা যাবে না। মনে রাখবেন, ভাইরাসটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী, জাতি বা বর্ণের মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে না।

যা করা যাবে: কোভিড-১৯ আছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড-১৯ এর জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করছে এমন লোক সম্পর্কে, কোভিড-১৯ থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন এমন লোক সম্পর্কে বা কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরে মারা যাওয়া লোক সম্পর্কে কথা বলা যাবে।

যা করা যাবে না: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ এর "শিকার" হিসাবে উল্লেখ করা যাবেনা

যা করা যাবে: কোভিড-১৯ ব্যক্তিদের সংক্রমণের বিষয়ে কথা বলুন।

যা করা যাবে না: কোভিড-১৯ আক্রান্ত লোকেরা "অন্যকে সংক্রামিত করে" বা "ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়" - এসব বলা যাবে না কারণ এটি ইচ্ছাকৃত ভাবে সংক্রমণ ছড়ানো বোঝায় এবং দোষ চাপিয়ে দেয়।

যা করা যাবে: বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং সর্বশেষ অফিসিয়াল স্বাস্থ্য পরামর্শের উপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি সম্পর্কে সঠিকভাবে কথা বলুন।

যা করা যাবে না: অসমর্থিত গুজবের পুনরাবৃত্তি এবং আতঙ্ক ছড়ায় এমন ভাষা ব্যবহার করা যেমন "প্লেগ", "অ্যাপোক্যালিপস" ইত্যাদি।

যা করা যাবে: ইতিবাচক ভাবে কথা বলুন এবং হাত ধোয়া সম্পর্কিত টিপস অনুসরণ করে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর জোর দিন। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এটি এমন একটি রোগ যা তারা কাটিয়ে উঠতে পারে। নিজেকে, প্রিয়জনদেরকে এবং সবচেয়ে দুর্বলকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা সকলেই নিতে পারি এমন সহজ পদক্ষেপ।’

এমআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh