করোনা নিয়ে সতর্ক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসের আয়োজকরা

তিন বছর পিছিয়ে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশত শতবার্ষিকীকে সম্মান জানিয়ে ১ এপ্রিল শুরু হবে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস। করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আয়োজকরা।

বৃহস্পতিবার কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বাংলাদেশ গেমসের ২০২০ সালের আসর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।

বরাবরই অবহেলিত থাকা বাংলাদেশ গেমসের নবম আসর ২০১৭ সালে হবার কথা থাকলেও শুরু হচ্ছে আগামী মাসের প্রথম দিনে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে উপলক্ষ বানিয়ে প্রতিযোগিতার লোগোতে থাকছে তাঁর ছোঁয়া। শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে এবারের মাসকট পায়রা। ১৯৭৮ সালে শুরু হওয়া এই গেমসের সব শেষ আয়োজন হয়েছিল ২০১৩ সালে।

ক্রীড়া স্বার্থ ও টেকসই অগ্রগতি মাথায় রেখে এরইমধ্যে ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে অর্থবরাদ্দসহ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এবারের গেমস বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালকে। কমিটির কো চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।

গেমস উপলক্ষে গঠন করা হয়েছে ১৬টি উপ কমিটি। ৩১টি ডিসিপ্লিনে এবার থাকছে ৩৯৬টি ইভেন্ট।

৩১ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া থেকে জ্বালানো হবে গেমসের মশাল। পরের দিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন জমজমাট এই আসর।

সাড়ে দশ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেট অংশ নেয়ায় করোনাভাইরাসকে মাথায় রাখছেন আয়োজকরা।

বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস গেমসের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ বলেন, ‘গেমসে বিদেশি কেউ অংশ নিচ্ছে না। এর মাধ্যমে যাতে ভাইরাসটি ছড়াতে না পারে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা হবে। এরইমধ্যে মেডিকেল টিমের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। লক্ষণ দেখা মাত্রই অ্যাকশন নেয়া হবে।’

বাংলাদেশ অলিম্পিক ফেডারেশনের (বিওএ) সহ-সভাপতি আরও জানান, আগামী ১০ মার্চ সাংগঠনিক কমিটির পরবর্তী বৈঠক রয়েছে। সেখান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেয়া হবে।

এদিকে প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নাজুক অবস্থা ও খানাখন্দ ভরা ট্র্যাকে মর্মাহত আয়োজকরাও।

বিওএ’র মহা সচিব কাজী শাহেদ রেজা বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে। গেমসের পর তারা নতুন ট্র্যাক লাগিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ।’

বিকল্প হিসেবে সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি) ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে আয়োজকদের।

শেখ বশির আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাক দৌঁড়াতে যেহেতু ঝুঁকি রয়েছে, সেহেতু বিকেএসপিতে শুধু দৌঁড়ের আয়োজন করার ইচ্ছা রয়েছে। এছাড়া হাই জাম্প, লং জাম্প ইত্যাদি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হবে।’

এবারের বাংলাদেশ গেমসে ৩৯৬ সোনাসহ মোট ১ হাজার ৩৩৮টি পদক দেয়া হবে। আরসটি ক্রীড়াঙ্গনে নতুন আমেজ তৈরি করবে বলে মনে করছে আয়োজকরা।

ওয়াই