সেই দুঃসহ রাতের স্মৃতি বর্ণনা করলেন জুলিও সিজার
ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ২০০৩ সালে অভিষেকের পর ৮৭ ম্যাচে ব্রাজিলের জার্সিতে গোল পোস্ট সামলেছেন। দুটি কনফেডারেশন কাপ, একটি কোপা আমেরিকা জয়ের রেকর্ডও রয়েছে নামের পাশে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে কলঙ্কজনক এক ইতিহাসের হোতা হতে হয়েছে জুলিও সিজারকে।
৮ জুলাই ২০১৪। বেলো হরিজন্তের স্তাডিও মিনেইরাওয়ে জার্মানির বিপক্ষে মুখোমুখি ব্রাজিল। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। সামনেই হেক্সা জয়ের সুবর্ণ সুযোগ।
গ্যালারিতে থাকা দশর্কদের হতাশ হতে হয়েছিল সেদিন। শুধু হার নয়, দেশটির ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে দিন হয়ত এটিই। জার্মানদের বিপক্ষে ৭-১ গোলের হারের লজ্জা নিয়ে সেদিন মাঠ ছাড়তে হয়েছিল সেলেকাওদের। ওই ম্যাচের পোস্টের দায়িত্বে থাকা জুলিও ঢাকা সফরে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রধান আকর্ষণ হিসেবে এই সফর করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রাখা হয়, জার্মানির বিপক্ষের ওই ম্যাচের পর ড্রেসিং রুমের পরিস্থিতি কেমন ছিল?
জবাব দিতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন জুলিও। তিনি বলেন, ‘মুহূর্তটা অদ্ভূত, আমাদের জন্য। সমর্থকদের জন্য। আসলে ব্যখা করার মতো না। চুপ ছিলাম। আমাদের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট (দিলমা রৌসেফ) বলেছিল, ফুটবলে এমন হতেই পারে। এখানেই থামলে চলবে না। তোমাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জুলিও আরও বলেন, তখন আমার মাথায় আসে, অনেক তরুণ রয়েছে। এখানেই থেমে থাকলে হবে না। তাদের জন্য ভালো কিছু করতে হবে। পুরো দল একেবারেই নিশ্চুপ ছিল। এরপর তৃতীয় স্থানের ম্যাচ ছিল নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে। আসলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাওয়া।’
এদিকে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আসতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তিনি।
‘ধন্যবাদ জানাতে চাই ফিফা ও বাফুফেকে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি আনন্দিত।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন