মেসির বিপক্ষে হেরে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ফন ডিক
মাত্র ৭ ভোটের ব্যবধানে এবারের ব্যালন ডি’ অর জিতে নেন লিওনেল মেসি। চলতি মাসের শুরুতে রেকর্ড ষষ্ঠবার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পদকটি নিজের করে নিয়েছেন বার্সেলোনা মহাতারকা। পেছনে ফেলেছেন লিভারপুলের ভার্গিল ফন ডিককে। সামান্য ব্যবধানে হারার পর এতদিন বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও এবার মুখ খুলেছেন নেদারল্যান্ডসের এই সেন্টার ব্যাক।
এবারের ব্যালন ডি’ অরে নিজের নাম লেখানোর আগে ৬৮৬ ভোট পেয়েছেন মেসি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফন ডিক পান ৬৭৯ ভোট। প্রতিযোগিতার তিনে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পান ৪৭৬টি ভোট।
২০১৯ সালে পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় হন ফন ডিক। যদিও ফিফার দ্য বেস্ট ও ব্যালন ডি’ অর দুইটাই মেসির কাছে হাত ছাড়া হয় এই ডাচ ডিফেন্ডারের।
সম্প্রতি ইংলিশ গণমাধ্যম দ্য মিররের সঙ্গে কথা বলেছেন, লিভারপুলের দ্য ওয়াল খ্যাত এই তারকার। জানিয়েছেন ব্যালন ডি’ অরের ফল শুনে হতাশ হয়েছিলেন তিনি।
‘আমি কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম। যদিও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত রাতটা বেশ উপভোগ করি।’
বিশ্বসেরা ফুটবলারের পুরস্কার হাত ছাড়া হবার পর তার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মেসি-রোনালদোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারাটা।
নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের অধিনায়ক বলেন, ‘আমি এখনও এটাই মানি, বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ফুটবলারদের কাতারে আসতে পারাটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় ব্যাপার।’
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জমকালো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বার্সা অধিনায়ক মেসির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় ফন ডিককে। সেই আলাপন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে।
‘আমি মেসির সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিলাম। তবে আমাদের তেমন কথা হয়নি, কারণ তিনি ইংরেজি খুব কম বলেন। আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া হচ্ছে, আমার প্রতি তার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। যেমনটা তার জন্য রয়েছে আমার।’
ওয়াই
মন্তব্য করুন