• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এনসিএলে দ্বিতীয় রাউন্ডে জয় খুলনা-সিলেটের

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৩৪
এনসিএলে দ্বিতীয় রাউন্ডে জয় খুলনা-সিলেটের
ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের চারটি ম্যাচে জয় এসেছে দুই ম্যাচে। খুলনায় টায়ার-ওয়ানের ম্যাচে রাজশাহী বিভাগকে হারিয়েছে খুলনা বিভাগ ও চট্টগ্রামে ড্র করেছে ঢাকা বিভাগ-রংপুর বিভাগের ম্যাচটি।

টায়ার-টু’র ম্যাচে ফতুল্লায় চট্টগ্রাম বিভাগ-বরিশাল বিভাগের ম্যাচটি ড্রতে নিষ্পত্তি হলেও বগুড়ায় ঢাকা মেট্রো-সিলেট বিভাগের ম্যাচে এসেছে ফলাফল।

নিজেদের মাঠে খুলনা প্রথম ইনিংস থেকেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ম্যাচটি। রাজশাহী আগে ব্যাট করে তুলে সব উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান। জুনাইদ সিদ্দিকি করেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫১ রান। বিপরীতে মেহেদী হাসান মিরাজ নেন ৪ উইকেট।

খুলনা নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের ৯৩ ও নুরুল হাসান সোহানের ৯৭ রানে ভর করে দশ উইকেটে ৩০৯ রান তুলে। রাজশাহীর পেসার শফিউল ইসলাম নেন ৩ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে খুলনার দুই পেসার আল-আমীন ও মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে দিশেহারা হয়ে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটাররা।

একমাত্র নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটেই আসে অর্ধশতকের ইনিংস। তার ৫৭ রানে রাজশাহীর সংগ্রহ হয় ১৭০ রান। তাতে খুলনার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রানের।

তৃতীয় দিনে ১৫ রানে দিন শেষ করা খুলনা চতুর্থ দিনে বাকি ১০৭ রান তুলতে লাগে ২২ ওভার ১ বল।

প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরা সৌম্য সরকার শেষ ইনিংসে খেলেন অর্ধশত রানের ইনিংস। তাতে ৭ উইকেটে হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

টায়ার-ওয়ানের আরেক ম্যাচে চট্টগ্রামে সমানে সমান খেলেছে ঢাকা ও রংপুর। প্রথম ইনিংসে সাইফ হাসানের অপরাজিত ২২০ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটে ৫৫৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা বিভাগ।

জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের ১২২ ও নাঈম ইসলামের ১৩৫ রানে ৫০৮ রান তুলে চতুর্থ দিনে অল-আউট হয় রংপুর। দিনের শেষ সেশনে ঢাকা ৩ ওভারে ১০ রান করতেই ম্যাচ ড্র মেনে নেয় দু’দল।

ফতুল্লায় চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের ম্যাচও হয়েছে নিষ্প্রাণ ড্র। চট্টগ্রাম ব্যাট করে মাহিদুল ইসলামের ৯১, ইয়াসির আলীর ৭০, ইরফান শুকুরের ৫৭ ও মাসুম খানের ৫০ রানে ভর করে ৩৫৬ রানে শেষ করে প্রথম ইনিংস। মনির হাসান নেন ৪ উইকেট।

জবাবে বরিশাল অল-আউট হয় ২১৬ রানে। সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন নুরুজ্জামান। চট্টগ্রামের হয়ে ৪ উইকেট নেন নাঈম হাসান।

চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় ৬ উইকেটে ১৯৫ রান তুলে। ওপেনার পিনাক ঘোষের ব্যাটে আসে ৫৪ রান।

বরিশালের হয়ে এবারের এনসিএলে রান পাচ্ছিলেন না মোহাম্মদ আশরাফুল। অবশেষে তার ব্যাটে এসেছে রান। ৬০ রানের ইনিংস খেলে দলকে টেনে নেন ড্রয়ের পথে। এছাড়া ৪২ রান করেন ৪২ রান। শেষ পর্যন্ত বরিশাল ৭ উইকেটে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে। এই ইনিংসেও নাঈম হাসান নেন ৪ উইকেট।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: বিশ্বকাপে আবারও নিজেদের প্রমাণ করতে চাই: সাকিব
---------------------------------------------------------------

বগুড়ায় টায়ার-টু’র ঢাকা মেট্রো ও সিলেটের ম্যাচে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে সিলেট। ঢাকা মেট্রোর হয়ে দুই ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ (৬৩, ১১১) ১৭৪ রান করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি।

প্রথম ইনিংস ঢাকা মেট্রো সংগ্রহ করে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান। মাহমুদউল্লাহ করে ৬৩ ও শাহিদুল করেন ৫৪ রান। সিলেটের হয়ে রেজাউর রহমান নেন ৪ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে সিলেটের ওপেনার তৌফিক হোসাইন ৬১, জাকির হোসেন ৭১, অলোক কাপালি ৫৪ ও জাকের আলী করেন ৭১ রান। ৮৪ ওভার ৫ বলে সিলেট তুলে ৩১৯ রান।

৭৩ রানে পিছিয়ে থাকা ঢাকা মেট্রোর হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে একাই লড়াই করে যান মাহমুদউল্লাহ। ১১১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেও বাকিদের ব্যর্থতায় ২৭৩ রানে অল-আউট হয়ে গেলে ২০০ রানের লক্ষ্য পায় সিলেট।

শেষদিনে ওয়ানডে ভঙ্গীতে ব্যাট করে মাত্র ৫২ ওভার ৩ বলে ৮ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য টপকে যায় সিলেট। ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইমতিয়াজ হোসেন। এছাড়া দুই নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রান করেন জাকির হোসেন।

এমআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh