হঠাৎ বিপর্যয় টাইগারদের
শুরুটা মন্দ হয়নি। তামিম-ইমরুল মিলে দুর্দান্তই শুরু করেন। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ভীষণ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইমরুল। এটিই কাল হয়ে দাঁড়ায়। হঠাৎ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন শেষে স্কোর বোর্ডে ৩ উইকেটে ৬৬ রান যোগ করেছে টাইগাররা। এ নিয়ে ১২২ রানের লিড নিয়েছে মুশফিকরা।
প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। ভালোই খেলছিলেন বাংলাদেশের দু’উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। তবে তা সুখের বার্তা বয়ে আনতে পারেনি। নিল ওয়াগনারের করা অফস্টাম্পের বাইরের বল পয়েন্টে ঠেলে রান নিতে ছুটেন তামিম ইকবাল। তাতে জোরেসোরে সাড়া দেন ইমরুল কায়েস। আর বিপত্তি ঘটে সেখানেই। রানটি পুরো করতে গিয়ে ডাইভ দেন ইমরুল। এতে কোমরে ভীষণ চোট পান তিনি। ফিজিওর শুশ্রূষার পরও সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি এ ওপেনার। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে ড্রেসিং রুমে ফিরতে বাধ্য হন।
ইমরুলের চোট বড় ধাক্কা দেয় বাংলাদেশ শিবিরে। এতে রসদ যোগান প্রতিপক্ষ বোলার মিশেল স্যান্টনার। পরক্ষণেই তামিমকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান তিনি। টাইগার ড্যাশিং ওপেনার করেন ২৫ রান।
এরপর ক্রিজে আসেন বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে তিনি আশার প্রতিদান দিতে পারেননি। ওয়াগনারের করা লেগ স্টাম্পের বাইরের বলকে তাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এরই সঙ্গে হঠাৎ বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
বিপর্যয়ের মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দেন পরে ব্যাটিংয়ে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনের শেষ ওভারে ওয়াগনারের বলে ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। পঞ্চম দিনে ইমরুল কায়েস বা আঙুলে ব্যথা পাওয়া মুশফিকুর রহিম ব্যাট করতে না পারলে সেটি আরো বড় হয়ে দেখা দেবে-তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন