ফুটবলের জয়ের প্রত্যাশায় সল্ট লেকে দুই বাংলার ভক্তরা
দীর্ঘদিন পর কলকাতায় ফিরেছে আন্তর্জাতিক ফুটবল। সিটি অব জয় খ্যাত এই শহরের বাসিন্দাদের উত্তেজনা দেখলেই তা যে কেউই টের পাবে। ভারতের সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়ামে নামছে জাতীয় দল। প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী বাংলাদেশ। বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন বা সল্টলেক স্টেডিয়ামের মোট ধারণ ক্ষমতা ৮৫ হাজার। ম্যাচের সব টিকেটই শেষ হয়ে গেছে আগেই। ক্রিকেটপাগল দেশ হিসেবে খ্যাত ভারতের ফুটবল উন্মাদনাও যে কম নয় তা কলকাতায় না এলে বোঝা মুশকিল।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় রাত ভর দলের জন্য রং বেরংয়ের ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করেছে ভক্তরা। যদিও স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে এসে হতাশ হতে হচ্ছে। কারণ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ব্যানারগুলো নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আর এই কারণে অনলাইনেও সোচ্চার সমর্থকরা। ‘ব্লু পিলগ্রিমস’ ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় সমথর্কগোষ্ঠি।
মূলত কলকাতায় ভারতীয় ফুটলের উৎপত্তি। তাই সল্টলেক স্টেডিয়ামকে ‘ফুটবলের মক্কা’ বলা হয়। সমর্থকদের এবারের স্লোগান ‘মক্কা চলো বন্ধু’। এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছে সমর্থকরা।
পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। ৮৫ হাজারের মধ্যে সব মিলিয়ে হয়ত ৫ হাজার মানুষ পাওয়া যাবে স্টেডিয়ামে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে জামাল ভূঁইয়াদের সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীতের সুর মিলাতে স্টেডিয়ামে হাজির হচ্ছেন লাল সবুজের ভক্তরা।
বাংলাদেশ ফুটবল সাপোর্টার্স ফোরাম, সাপোর্টাস অব বাংলাদেশ ফুটবল (এসবিএফ) এর অনেকেই জার্সি পরে মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়াও অনেকেই এসেছেন বন্ধু ও পরিবার নিয়ে।
ফিফা র্যাংকিংয়ে ভারতের থেকে বেশ দূরে অবস্থান বাংলাদেশের। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার ক্রমতালিকায় সুনীল ছেত্রীর দল রয়েছে ১০৪ নম্বরে। অন্যদিকে লাল-সবুজরা ১৮৭ নম্বরে অবস্থান করছে।
র্যাংকিং যেমনই হোক নিজ দলের জন্য গলা ফাটানোর জন্য প্রস্তুত দুই দলের সমর্থকরা। দুই বাংলার মিলনে সবার একটাই চাওয়া, জয় হোক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের।
ওয়াই
মন্তব্য করুন