জাতীয় ক্রিকেট লিগে স্পিনারদের দাপট
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) ২০১৯-২০ মৌসুমের শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে স্পিনারদের দাপট। টায়ার-ওয়ান ও টায়ার-টু’র চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিরপুর, ফতুল্লা, রাজশাহী ও খুলনায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাধা দিলেও আজ দ্বিতীয় দিনে মাঠে গড়িয়েছে সবকটি ম্যাচ।
ঢাকায় মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম দিনে খেলা হয়েছিল ৫১ ওভার। এই ম্যাচের প্রতি সবার বাড়তি নজর ছিল তামিম ইকবালকে ঘিরে। চট্টগ্রামের হয়ে গতকাল ৩০ রান করে আউট হন ঢাকা মেট্রোর হয়ে খেলা জাতীয় দলের আরেক সতীর্থ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে ক্যাচ দিয়ে।
তামিমের ব্যাটে রান না এলেও চট্টগ্রামের আরেক ওপেনার সাদিকুর রহমানের ৫১ আর তাসামুল হকের ৯০ রানে মোট ২৯০ রান তুলে দলটি। তবে ঢাকা মেট্রোর হয়ে ঘূর্ণি জাদু দেখিয়েছেন জাতীয় দল থেকে দীর্ঘদিন ধরে বাইরে থাকা আরাফাত সানি।
সানি ৩৯ ওভার ৫ বল করে মেডেন নিয়েছেন ১২ ওভার। ওভার প্রতি ২.১৮ করে রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৬ টি উইকেট।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনে ২৪ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটে ৬৬ রান তুলেছে ঢাকা মেট্রো। দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ৬ আর রাকিন আহমেদ ৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও শামসুর রহমান শুভ ২৬ আর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব অপরাজিত আছেন ২১ রানে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের খেলায় সমান তালে লড়ছে দু’দল। গতকাল টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রাজশাহী। আগে ব্যাট করে বড় সংগ্রহ করতে পারেনি ঢাকা। মাত্র ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় রাজশাহীর স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও শফিউল ইসলামের বোলিং তাণ্ডবে।
ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন তাইবুর রহমান ৮৮ ও রনি তালুকদার করেন ৬৩ রান। তাইজুল ইসলাম নেন ৪ উইকেট ও ৩টি উইকেট নেন শফিউল ইসলাম।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনে ৬৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান করেছে রাজশাহী।
ওপেনার মিজানুর রহমান ১ ও জুনাইদ সিদ্দিকি ২ রান করে সাজঘরে ফেরার পর ধ্বসে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইন-আপ। এই ধ্বসে পড়া ব্যাটিং লাইন-আপকে টেনে তোলার চেষ্টায় মুশফিকুর রহিম খেলেন ৭৫ রানের ইনিংস। অপরাজিত আছেন আরেক ওপেনার জহুরুল ইসলাম ৫৭* রানে।
খুলনায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় প্রথম দিনের খেলা। দ্বিতীয় দিনেও খেলা হয়েছে মাত্র ৭২ ওভার। শুক্রবার সকালে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি রংপুর। দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান তুলতে পেরেছে সফরকারীরা। রংপুরের হয়ে নাঈম ইসলাম করেন ৪৮ রান। অপরাজিত আছেন তানভির হায়দার ৪০* ও সোহরাওয়ার্দি শুভ ৩১* রানে।
খুলনার হয়ে সমান ২টি করে উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক। বাকি ১টি উইকেট নেন মইনুল ইসলাম।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে প্রথম দিন খেলা হয়নি, দ্বিতীয় দিনেও খেলা হয়েছে মাত্র ৩১ ওভার। এই ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় সিলেট। উইকেটের সুবিধা নিয়ে দাপট দেখিয়েছেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। সাজঘরে ফেরান সিলেটের দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন (৬) ও তৌফিক খানকে (১৬)।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা রাহাতুল ফেরদৌসকে ৪ রানে ফেরান তৌহিদুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৩২ রানে জাকির হোসেন ও ৮ রানে অলোক কাপালি।
এমআর/পি
মন্তব্য করুন