• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঘুমাতে পারেননি আমিনুল

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২০:৩১
ঘুমাতে পারেননি আমিনুল
ছবি: সংগৃহীত

মাত্র একটা ম্যাচ খেলেছেন। তাতেই চোটে পড়ে ছিটকে পড়েছেন ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে। বোলিং করার সময় হ্যামিল্টন মাসাকাদজার স্ট্রেইট ড্রাইভ থামাতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে ব্যথা পেয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। বাঁহাতে লেগেছে তিনটি সেলাই। ইনজুরির কষ্টটা খুব দ্রুতই দেখে ফেললেন এই তরুণ লেগ-স্পিনার।

ক্যারিয়ারটা শুরু হয়েছে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশ দলের একজন লেগ-স্পিনারের আক্ষেপ ছিল এতদিন। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে দিয়ে সেই আক্ষেপটা ঘোচাতে চায় বাংলাদেশ। কিন্তু কতটা পারবেন আমিনুল সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

অভিষেকটা খুব তোড়জোড় করেই হয়ে গেল তার। মাত্র ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রেখে দেয়া আমিনুল গত সপ্তাহেও তো জানতেন না যে এভাবে ডাক পেয়ে যাবেন জাতীয় দলে!

আমিনুল যেদিন শুনলেন বাংলাদেশ দলে সুযোগ পাচ্ছেন, সে রাতটা নির্ঘুম কেটেছে তার।

বন্দর নগরীর রেডিসন ব্লু হোটেলের লবিতে হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েও তার হাসিমুখ বলে দেয়, এখনও ঘোরের মধ্যেই আছেন। অনর্গল বলতে থাকলেন দলে ডাক পাওয়ার রাতে কি ঘটেছে তার সঙ্গে।

---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের জালে জাপানের গোল বন্যা
---------------------------------------------------------------

'দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে সোহেল স্যার (দলের সহকারী কোচ সোহেল ইসলাম) আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। ফোন দিয়ে বললেন, তুই কি কিছু জানিস? বললাম, না স্যার কিছু তো জানি না। এরপর তিনি বললেন যে আচ্ছা ঠিক আছে অপেক্ষা কর, এরপর ভালো একটা সংবাদ পাবি। সাব্বির ভাই (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার সাব্বির খান) আমাকে ফোন দিয়ে বললেন, অভিনন্দন! তোমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে। খুশিতে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি।’

ডাক পেলেন, খেললেন, উইকেটও পেলেন। তার বোলিংয়ে মুগ্ধ করেছেন দেশের ক্রিকেট বোদ্ধাদের। ৪ ওভার বোলিং করে ৪.৫০ গড়ে মাত্র ১৮ রান দিয়েছেন, তুলে নিয়েছেন ২টি উইকেট। ছিল ৯টি ডট বল। অতিরিক্ত রান দিয়েছেন মাত্র ১টি।

আগের দিন অনুশীলনে খুব একটা স্বাভাবিক থাকতে পারছিলেন না আমিনুল। একটা বল ঠিকভাবে করতে পারলেও আরেকটা বল ফেলতে পারছিলেন না জায়গা মত। তবে ম্যাচে সেটা দেখা যায়নি একদমই। লাইন-লেন্থ বজায় রেখেছেন ঠিকঠাক।

‘সত্যি বলতে কী, ম্যাচের শুরুর দিকে একটু নার্ভাস ছিলাম। তবে পাশ থেকে যখন অভিজ্ঞ সতীর্থরা সমর্থন করেন এবং বলেন যে তোর কিছুই হবে না, চিন্তার কিছু নেই। তুই তোর স্বাভাবিক খেলাটা খেলে যা, বিশেষ করে সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইয়ের মতো বড় খেলোয়াড়েরা। তখন আসলে আত্মবিশ্বাস এমনি চলে আসে। আমি শুধু এটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি।’

এমআর/

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh