• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আফগানদের হারানো কঠিন হবে না: মিরাজ (ভিডিও)

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৫ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৫৫

আবারও শুরু হচ্ছে টাইগারদের ব্যস্ততা, অনুশীলনে এক চুল ছাড় নেই। দুই নয়া কোচের অধীনে সকাল থেকেই চলছে কঠোর পরিশ্রম। সাকিব আল হাসান সেই সকাল আটটায় এসে শুরু করেছেন জিম। এরপর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে ব্যাট করেছেন ঘণ্টাখানেক।

বাকিদেরও ব্যস্ততার কমতি নেই। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা একের পর এক ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন ব্যাটিং অনুশীলনে। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক আর ডোমিঙ্গোর বিশেষ নজর ফিল্ডিংয়ে। বিশ্বকাপের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার পালা আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে।

তারপরই শুরু হবে জিম্বাবুয়েকে যোগ করে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তার আগে অবশ্য টেস্ট ম্যাচটায় জয় চাই। টেস্ট ক্রিকেটের নতুন সদস্য আফগানিস্তানের কাছে যদি হেরে যায় তাহলে মুখ লুকানোর জায়গা থাকবে না!

অনুশীলনে মেহেদী হাসান মিরাজ নেই গতকাল আঙুলে চোট পাওয়ায়। তবু মাঠে এসেছেন সতীর্থদের অনুশীলন দেখতে। কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।

‘আঙুল আগের থেকে অনেকটা ভালো। আশা করছি আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।এরপর অনুশীলন শুরু করতে পারব।’

তা কেমন চলছে প্রস্তুতি? মিরাজ খুশি সতীর্থদের কঠোর পরিশ্রম দেখে, আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে সবার পরিশ্রম দেখে। আল্লাহর রহমতে ভালো কিছু হবে। দলের সিনিয়র যারা আছে তারা অনেক পরিশ্রম করে। সাকিব ভাইকে দেখেছি বিশ্বকাপ চলাকালীন অনেক পরিশ্রম করেছে। মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই ওনাদের কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।

টেস্ট ক্রিকেটে আফগানিস্তান কেমন করবে বলে মনে হচ্ছে? তাদের কতোটা ডমিনেট করতে পারবে বাংলাদেশ? এমন প্রশ্নে মিরাজ বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই আমরা ডমিনেট করে খেলার চেষ্টা করব। সেরকম আমরা কাজ করছি এবং আমরা ওদের থেকে অনেক এগিয়ে থাকব। তারপরও খেলায় হারজিত থাকবে। ভালো সময় খারাপ সময় থাকবে, এটাই মেনে নিতে হয়। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি যাতে আমরা প্রমাণ করতে পারি, আমরা ওদের থেকে ভালো দল। শেষ কয়েক বছরে যে ক্রিকেট খেলেছি ওইভাবেই আমরা খেলার চেষ্টা করব।

কথায় অনেক কিছুই বলা যায় কিন্তু তাদের মূল শক্তির জায়গাটা স্পিনে। বাংলাদেশের কন্ডিশন ওদের জন্যও সমান সহায়ক বলে মনে করা হলেও মিরাজ বলছেন, একটা জিনিস দেখেন, আমাদের বোলারদের কিন্তু অনেক অভিজ্ঞ আছে। বিশেষ করে সাকিব ভাই। ১৩-১৪ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। সফল খেলোয়াড়। তাইজুল ভাই একটা উইকেট পেলে একশ উইকেট হয়ে যাবে। আমারও ১৩-১৪টা টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সবমিলে ওদের থেকে আমাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি।

মিরাজ মনে করিয়ে দেন, টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কতোটা পার্থক্য।

‘আমি বলব, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের অনেক পার্থক্য আছে। যেমন ওরা ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে রান সেভ দিয়ে বল করে এর জন্য ব্যাটসম্যান চার্জ করে খেলে। টেস্ট ক্রিকেটে তো ওরকম না যে জোরে মারা বা চার্জ করে ক্রিকেট খেলা। যতক্ষণ ভালো বল করবে ততোক্ষণ সারভাইব করবে, একটা বল খারাপ করলে ওইটা মারবে এটাই টেস্ট ক্রিকেট।’

নিজেদের মাঠে খেলা। সেটা ঢাকা বা চিটাগং হলেও এ নিয়ে ভাবছেন না এই অলরাউন্ডার।

‘মিরপুর কিংবা চট্টগ্রামে যেখানেই খেলা হোক না কেন দুইটাই আমাদের হোম কন্ডিশন। আমরা জানি এখানে আমাদের কিভাবে খেলতে হবে। হ্যাঁ ওরাও খেলেছে তবে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি। টেস্ট ক্রিকেট খেলেনি। আমরা চেষ্টা করব আমাদের কন্ডিশনটা আমাদের কাজে লাগানোর জন্য।’

এমআর/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh