• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চাপ জয় করে এগিয়ে যেতে চান দুই কোচ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২১ আগস্ট ২০১৯, ১৫:০৫
চাপ জয় করে এগিয়ে যেতে চান দুই কোচ
ছবি- সংগৃহীত

নতুন স্বপ্ন নিয়ে নতুনভাবে কোচিং স্টাফ সাজিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের বিদায়ের সঙ্গে বিদায় দেয়া হয় পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, স্পিন কোচ সুনীল যোশিকেও। তাদের জায়গায় নতুন করে নিয়োগ দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়া বিসিবি অবশেষে কোচ সমস্যার সমাধান করেছে।

নতুন কোচিং স্টাফের চারজনই দক্ষিণ আফ্রিকান। আগে থেকেই আছেন ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। নতুন করে যোগ হলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আর পেস বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট।

গতকাল দুই নতুন কোচ পা রাখেন ঢাকায়। রাত পোহানোর অপেক্ষা, নেমে পড়তে হয়েছে মাঠে। সকালেই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে পরিচয় পর্ব সেরে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন ডমিঙ্গো আর ল্যাঙ্গাভেল্ট।

দুজনই খুশি কোচিং স্টাফে স্বদেশীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতায়। নিজেদের মানিয়ে নিতেও সুবিধা হবে বলে জানান দুই কোচ। নিজেদের মধ্যে ভাষা সমস্যা হবে না ভেবেও স্বস্তি পাচ্ছেন বলে জানান তারা।

এসব ছাপিয়ে মুখ্য বিষয়টা বাংলাদেশের ক্রিকেট ও তাদের কাছে এদেশের ক্রিকেটের চাওয়া-পাওয়া। দুই কোচকে দেখা গেল সাবধানী উত্তর দিতে।

নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নিতে চান দ্রুত। শিষ্যদের নিয়ে সেভাবেই এগিয়ে যেতে চান। খেলোয়াড়দেরও বার্তা দিলেন দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন হবার। বিসিবি কর্তাদের হস্তক্ষেপের কারণে, অতীতে বেশিরভাগ কোচই মন মতো কাজ করতে না পারলে, সেটা নিয়ে ভাবছেন না ডমিঙ্গো। বরং চাপ না নিয়ে দলের যোগ্যতাকে মাঠে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করার দিকে নজর এ প্রোটিয়া কোচের।

‘কোচ হিসেবে চাপকে পেছনে ফেলে আমরা সামনে এগোই। উপভোগ করতে চাই সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ। আমরা যদি আগেই জেনে যাই যে আমরা সব ম্যাচ জিতবই, তাহলে সেটা হবে দুনিয়ার সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ। চাপ যখন আসবে, চ্যালেঞ্জ আসে তখন। উপভোগের ব্যাপারটাও তখন বেশি।’

---------------------------------------------------
আরো পড়ুন: কন্ডিশনিং ক্যাম্পে নতুন দুই কোচ
---------------------------------------------------

এই দেশে ক্রিকেটের প্রতি প্রত্যাশাটা কত বেশি সেটা বিমান বন্দরেই টের পেয়েছেন রাসেল ডমিঙ্গো। অবাক হয়েছে সকাল সকাল শের ই বাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি সংখ্যা দেখেও!

‘সত্যি কথা, আমি কখনও এত সাংবাদিক একসঙ্গে দেখিনি। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোচ থাকাকালীন বড় কোনও ম্যাচ শেষে বেশি হলে ৮ থেকে ৯ জন সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখা যায়। এই যে আপনাদের এত উপস্থিতি, ক্রিকেটের প্রতি সমর্থকদের আবেগ, ভালোবাসাই হয়তো আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।’

ডমিঙ্গো কিছুটা আবেগে ভাসলেও ল্যাঙ্গাভেল্ট জানেন এসব আবেগকে কিভাবে জয় করা যায়। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন আফগানিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে। তাই তার বুঝতে বাকি নেই এশিয়ার মানুষের আবেগ, ধ্যান-ধারণা কিংবা সংস্কৃতি সম্পর্কে।

‘আমি লম্বা সময় ধরে আফগানিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে কাজ করেছি। সেখানকার মানুষের ক্রিকেট নিয়ে অনেক আবেগ, ভালোবাসা দেখেছি। আশা করি এখানে কাজ করতে খুব বেশি সমস্যা হবে না আমার।’

ডমিঙ্গোর মতো ল্যাঙ্গাভেল্টও কাজ করতে চান উঠতি ক্রিকেটারদের নিয়ে। গড়ে তুলতে চান মজবুত পাইপ লাইন। এশিয়ার স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে পেসারদের নিয়ে কাজ করাটা একটু কঠিন হলেও টেনে এনেছেন আফগানিস্তানে কাজ করার অভিজ্ঞতা।

‘উপমহাদেশে উইকেটগুলো স্বাভাবিকভাবেই স্পিন সহায়ক। তাই এখানকার কন্ডিশনে কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিংই বটে। পেসারদের ক্ষেত্রে নতুন বলে বোলিং করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। আমি চাইবো এসব নিয়ে কাজ করতে। পেস বোলিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বল করা। এগুলো নিয়েই কাজ করতে হবে আগে।’

তবে কথায় ভেতরও দুজন বলতে ভুলে যাননি, আমরা বড় কোনও স্বপ্ন দেখাতে আসিনি। চাইবো এখনকার অবস্থান থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটকেকে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে।

এমআর/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh