বক্সিং
থারম্যানকে হারিয়ে সুপার চ্যাম্পিয়ন পাকিয়াও
যুক্তরাষ্ট্রের কিথ থারম্যানকে হারিয়ে ডব্লিউবিএ সুপার ওয়েল্টার-ওয়েট শিরোপা জিতেছেন ফিলিপাইনের ম্যানি পাকিয়াও। যদিও ১২ রাউন্ডের এ লড়াইতে বিভক্ত রায়ে জয় নিশ্চিত হয় প্যাক-ম্যান’র।
ক্যারিয়ারে ৭০টি ম্যাচে ৬১ জয় এবং ৭ হার ফিলিপাইন বক্সারের। আর ২৯টি ম্যাচ খেলে কোনো হারের মুখ দেখেননি মার্কিন বক্সার। এর মধ্যে নকআউট ২২টি! পাকিয়ার’র জয়ের পাল্লা ভারীর বিপরীতে থারম্যানের চোখ ছিল অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখা।
পাকিয়াও’র বয়স ৪০-এর তুলনায় থারম্যানের ৩০ বছর এবং উচ্চতার কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন ‘ওয়ান টাইম’। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের গ্র্যান্ড গার্ডেন অ্যারেনায় লড়াই শুরু হলে এগুলোকে পাত্তা দেননি কোনো বক্সারই।
থারম্যানকে নকড ডাউন করার মুহূর্তে পাকিয়াও
প্রথম রাউন্ডের থারম্যানকে নকড ডাউন করেন পাকিয়াও। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে লড়াইতে বেড়েছে ঝাঁঝ, পেয়েছে নতুন মাত্রা। পঞ্চম রাউন্ডে পাকিয়াওয়ের পাঞ্চের ফলে নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় থারম্যানের।
তবে মাঝের রাউন্ডগুলোতে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হন আমেরিকান বক্সার থারম্যান। ষষ্ঠ থেকে নবম রাউন্ডে পাকিয়াওকে নাস্তানাবুদ করেন ২০১৫-২০১৯ পর্যন্ত টানা চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
কিন্তু শেষ দিকে দারুণভাবে প্রত্যাবর্তন করেন পাকিয়াও। দশম রাউন্ডে শক্তিশালী পাঞ্চে থারম্যানকে ব্যাক-ফুটে ঠেলে দেন আলাদা আটটি ওজন শ্রেণীতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পরা একমাত্র বক্সার ম্যানি পাকিয়াও। আধিপত্য ধরে রাখেন শেষ দুই রাউন্ডেও।
বিজয়ী ঘোষণার পর বেল্ট পরিয়ে দেয়া হয় পাকিয়াও'কে
দুজন বিচারক পাকিয়াওকে ১১৫-১১২ পয়েন্টে বিজয়ী ঘোষণা করলেও তৃতীয় জন ১১৪-১১৩ পয়েন্টে থারম্যানের পক্ষে রায় দেন। ক্যারিয়ারের ৭১তম লড়াইতে ৬৩তম জয় তুলে নেন ম্যানি পাকিয়াও। আর ৩০তম ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পান কিথ থারম্যান।
জয়ের পর দেশে ফিরে রাজনৈতিক কাজে আত্মনিয়োগ করবেন ফিলিপাইনের সিনেটর ম্যানি পাকিয়াও। তবে গুঞ্জন রয়েছে নভেম্বরে ব্রিটিশ চ্যাম্পিয়ন আমির খানের বিপক্ষে রিং-এ দেখা যেতে পারে ‘দি প্যাক-ম্যান’কে।
অগ/সি
মন্তব্য করুন