আফ্রিকান ন্যাশন্স কাপ
সবার আগে নকআউট পর্বে নাইজেরিয়া-মিশর
আফ্রিকান ন্যাশন্স কাপে প্রথম দল হিসেবে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে নাইজেরিয়া। গিনির বিপক্ষে সুপার ঈগলসদের জয়টি এনে দিয়েছেন কেনেথ ওমেরু।
গ্রুপ ‘বি’র ম্যাচে আলেক্সান্দ্রিয়া স্টেডিয়ামে খেলার শুরুতে সুযোগ তৈরি করে গিনি। ফ্রাক্সোস আরমানির ফ্রি-কিক নাইজেরিয়ার গোলবার ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে চাপ বাড়ায় গিনি। তবে বিরতির আগ মুহূর্তে আলেক্স আইয়োবির চেষ্টা বৃথা না গেলে, লিড পেতে পারতো নাইজেরিয়া।
এ ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি লিভারপুল তারকা নাবী কেইটা। পয়লা মে’র পর প্রথম মাঠে নামেন বদলি হিসেবে। কিন্তু মাঠে নিজের কোন ছাপ রাখতে পারেননি নাইজেরীয় মিডফিল্ডার কেইটা।
খেলার ৭৩ মিনিটে অচলাবস্থা ভাঙেন কেনেথ ওমেরু। মোসেস সিমন্সের কর্নার থেকে হেডে বল জালে জড়ান ওমেরু।
শেষ দিকে গিনি হামলে পড়লেও, তাদের রুখতে বেশি বেগ পেতে হয়নি নাইজেরিয়াকে। টানা দ্বিতীয় জয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় আফ্রিকার সুপার ঈগলসদের।
তবে কঙ্গোকে ২-০ গোলে হারাতে এতোটা লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়নি মিশরকে। কায়রো আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দেশের পক্ষে লক্ষ্যভেদ করেছেন মোহাম্মদ সালাহ।
যদিও খেলার ১০ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো কঙ্গো। তিসেরান্ডের প্রচেষ্টা ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে বঞ্চিত হয় লেপার্ড’রা।
তবে ভুল করেনি মিশর। খেলার ২৫ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন আহমেদ এল মোহামাদী। কর্নার থেকে ডি-বক্সে পাওয়া বলে ডান পায়ের শটে গোলপোস্টের বা-প্রান্তে পাঠিয়ে দেন আহমেদ।
বিরতির আগ মুহূর্তে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মোহাম্মদ সালাহ। ত্রেজেগুতের থ্রু-বল দুজনকে কাটিয়ে বা-পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন সময়ের আলোচিত লিভারপুল তারকা সালাহ।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গুছিয়ে নিলেও কঙ্গোর আক্রমণগুলো নস্যাৎ করে দেন মিশরের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডাররা। দ্বিতীয় জয়ে শেষ ষোলতে জায়গা করে নেয় আফ্রিকার সবচেয়ে সফল দল ও গেলবারের রানার্স-আপ মিশর।
অগ/এসএস
মন্তব্য করুন