• ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অপরাজিতই থাকল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৫ মে ২০১৯, ২৩:১১

পর পর দুই ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং লাইন-আপকে ধ্বংস স্তূপে পরিণত করে দেয়া টাইগারদের বোলিং লাইন-আপকে আজ চোখ রাঙানি ব্যাটিং দেখতে হয়েছে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের কাছে। এ যেন পচা শামুকে পা কাটার মতো অবস্থা!

ডাবলিনের ক্যাসল পার্কে আজ কেমন জানি দেখা গেল মাশরাফী-সাকিবদের। সাকিবকে একের পর এক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন আইরিশ ব্যাটাররা। যে কি না গত দুই ম্যাচে সবচেয়ে কম রান দিয়েছিলেন। সেই সাকিব আজ ৯ ওভারে ৬৫ রান, পাননি কোনও উইকেট!

মাশরাফি বিন মুর্তজা দুই ম্যাচে নিয়েছিলেন তিন-তিন করে ৬ উইকেট। আজ তিনিও ছিলেন উইকেট শূন্য।

সাকিব বোলিংয়ে এসেছেন ২০ ওভার পরে। মাশরাফি আসেন ২৯ ওভারের সময়। শুরুটা শুরু হয় নতুনদের হাতেই। এ যেন হাত বদলের ইঙ্গিত। একদিন তো তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে শুরু থেকে। তাই হয়তো এটা প্রস্তুতিরই অংশ।

ক্যাসল পার্কে টস জিতে আইরিশ অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ব্যাটিংয়ের। শুরুটা নড়বড়ে হলেও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পল স্টার্লিংয়ের ১৩০ রান আর চার নম্বরে ব্যাট করতে আসা দলীয় অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের ৯৪ রানের কল্যাণে ২৯২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।

সাকিব আজ বেশ খানিকটা খরুচে ছিলেন। ৯ ওভারে দিয়েছেন বিনা উইকেটে ৬৫ রান।

শুধু সাকিবই নন, উইকেট পাননি মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মোসাদ্দেক হোসেন। রুবেল হোসেন নেন ১টি উইকেট আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন ২ উইকেট।

সাকিব-মাশরাফিরা বেশ খরুচে বোলিং করলেও আবু জায়েদ রাহী তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই স্বাদ নেন পাঁচ উইকেট পাওয়ার। যদিও ৯ ওভারে রান দিয়েছেন ৫৮।

আইরিশদের দেয়া ২৯২ রান তাড়া করার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল আর লিটন দাস মিলে শুরুটা করেন দারুণ। দুজনেই পান অর্ধশতক। যদিও তামিম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অর্ধশতক পূর্ণ করার পর। ব্যক্তিগত ৫৭ রানের মাথায় বয়েড র‍্যানকিনের বলে সাজঘরে ফিরেন তামিম।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লিটন-সাকিব বুঝতে দেননি তামিমের ফেরাটা। কিন্তু খানিক বাদেই লিটনও ফেরেন বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্যারি ম্যাকার্থির বলে ৭৬ রান করে।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিবের সঙ্গে জুটি গড়ে মুশফিক করেন ৩৫ রান। এরপর মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে সাকিব তুলে নেন ৫১ বলে অর্ধশত রান। কিন্তু উরুতে চোট পাওয়ায় পঞ্চাশ রান করেই চলে যান বিশ্রামে। দলীয় রান তখন ২৪৬।

বাকী পথটা ভালোমতোই পাড়ি দিচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ আর মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু মোসাদ্দেক খেই হারালেন ১৪ রানে। শেষ পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৩৫ রানে ভর করে ৪২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

ম্যাচটা জিতলেও দিন শেষে হয়তো একটা আফসোস থেকে যাবে বাংলাদেশের। আয়ারল্যান্ড যদি আর ক’টা রান বেশি করতো তাহলে ফাইনালের জন্য ব্যাটিং অনুশীলনটা আরেকটু ভালো হতো।

এমআর/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh