আফ্রিদির পক্ষ নিয়ে তোপ দাগালেন শোয়েব
পাকিস্তানের বুম বুম খ্যাত অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির আত্মজীবনী গেম চেঞ্জার প্রকাশের পর থেকে প্রতিদিনই বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরক সব তথ্য। তার আত্মজীবনীতে জাভেদ মিয়ানদাদ, ওয়াকার ইউনুসের মতো সাবেক ক্রিকেটারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। আবার ওয়াসিম আকরাম ও বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানকে ভাসিয়েছেন প্রসংশারবাণে।
আত্মজীবনীতে তার দাবি সিনিয়রদের অনেক অত্যাচার সইতে হয়েছে জুনিয়র থাকাকালীন। তবে মিয়াদাদ তার এ দাবি প্রত্যাখান করে বলেছেন বইয়ের কাটতির জন্যই তিনি এ ধরনের কথা ছাপিয়েছেন।
তবে মিয়াদাদ অস্বীকার করলেও আফ্রিদির দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন পাকিস্তানের স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। এ সম্পর্কে শোয়েব বলেন এমন বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছিল তাকেও।
বৃহস্পতিবার এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সাবেক অলরাউন্ডারের পাশে দাঁড়িয়ে রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, আফ্রিদির সঙ্গে যা ঘটেছে সেটাই সে লিখেছে। খেলার সময় দেখেছি তার সঙ্গে সিনিয়ররা খুব খারাপ ব্যবহার করতো। আমি নিজের চোখে এই ঘটনা দেখেছি। সুতরাং আমি এ ব্যাপারে তার সঙ্গে একমত।
সিনিয়রদের অত্যাচারের মাত্রা উল্লেখ করতে গিয়ে শোয়েব জানান, একবার অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় চারজন খেলোয়াড় তো আমাকে ব্যাট দিয়েই মারতে চেয়েছিলেন। যদিও কয়েকবছর পর উমরাহ তে যাওয়ার আগে দশজন সিনিয়র খেলোয়াড় আমাদের কাছে তাদের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। আমি বলেছি, এসব ক্ষমা চেয়ে এখন আর কোনও লাভ নেই, যা ক্ষতি হওয়ার তাতো হয়েই গিয়েছে। তবে আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।
আফ্রিদি তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন ১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টের আগে তাকে ব্যাটিং অনুশীলন করতে দেননি পাকিস্তানের সাবেক কোচ এবং কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান জাভেদ মিঁয়াদাদ।
শোয়েব বললেন আরও কঠিনভাবে। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস বলেন, আমার মনে হয় শহীদ আফ্রিদি তার বইয়ে সিনিয়রদের খারাপ ব্যবহার সম্পর্কে কমই লিখেছে। আমি কয়েকটা ঘটনা নিজের চোখেই দেখেছি। তার সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানে প্রকাশিত হয়েছে ‘গেম চেঞ্জার’। বইটি লিখেছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত সাংবাদিক ওজাহাত সাঈদ খান। এতে আফ্রিদির জানা-অজানা নানা বিষয় তুলে ধরেছেন তিনি। সাবেকদের নিয়ে বেশকিছু বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সিন্ধ হাইকোর্টে আফ্রিদির ‘গেম চেঞ্জার’ নিয়ে পিটিশন ফাইল হয়েছে। আদালত নতুন করে বইয়ের সংস্করণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তারপর।
এএ/জেবি
মন্তব্য করুন