মাইলফলকের ম্যাচে মেসি-রোনালদো সমানে সমান
মাঠে নামার আগে আলোচনায় ছিলেন লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। মেসি দুইটি ক্ষেত্রে আলোচনায় থাকলেও রোনালদোর ক্ষেত্রটি ছিল একটি। যেখানে আবার তার প্রতিপক্ষ ছিলেন আর্জেন্টাইন ও বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
মেসি-রোনালদোর লড়াই ছিল কে কাকে হারিয়ে ক্লাব পর্যায়ে ৬০০ গোলের এলিট ক্লাবে প্রথম হবেন। এই ক্লাবে ঢুকতে মেসির ৩টি আর রোনালদোর প্রয়োজন ছিল একটি গোলের। আরেকটি মাইলফলকে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী কেউই ছিল না। যেখানে তার সামনে ছিলেন বার্সেলোনার ক্লাব লিজেন্ড আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
মেসি-রোনালদো দ্বৈরথটা মূলত ছিল লা লিগায়। রোনালদো ইতালিতে যোগ দিলে দ্বৈরথে ভাটা পড়ে। কিন্তু ক্লাব গোলে কে কার আগে এলিট ক্লাবে যাবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে যায়। অবশেষে সেখানে জয়ী হলেন সিআরসেভেন।
শনিবার রাতে নু ক্যাম্পে মাঠে নামে বার্সেলোনা আর সান সিরোতে মাঠে নামে জুভেন্টাস। অবশ্য উভয়ে দল ১৫ মিনিট আগে পিছে করে মাঠে নামে। জুভিদের হয়ে রোনালদো প্রথম থেকে মাঠে থাকলেও বার্সেলোনার হয় মেসি মাঠে নামেন বিরতির পর।
রোনালদো মাঠে আগে নামলেও গোলের দেখা পেয়েছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে। যে গোলে তার দল জুভেন্টাস হার এড়ায়। আর মেসি গোল পেয়েছেন মাঠে নেমেই। তবে এই গোল পাওয়ার জায়গা এক বিন্দুতে মিলিত হয়েছেন মেসি-রোনালদো। উভয়েই ম্যাচের ৬২তম মিনিটে গোল করেন।
রোনালদো গোল করে ৬০০ গোলের ক্লাবে ঢুকে গেলেও মেসির গোল সংখ্যা হয় ৫৯৮টি। অর্থাৎ এলিট ক্লাবে প্রবেশ করতে তার প্রয়োজন আরও দুই গোল।
রোনালদো ম্যাচ চলাকালে গোল করে মাঠে থেকেই মাইলফলকের দেখা পেলেও মেসিকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। কারণ বার্সেলোনা মেসির গোলেই লেভান্তেকে হারিয়ে লা লিগার ২৬তম শিরোপা ঘরে তোলে। শেষ ১১ মৌসুমে এটি তাদের সপ্তম লিগ শিরোপা।
আর এ শিরোপার মধ্য দিয়ে মেসিও তার মাইলফলক স্পর্শ করেন। বার্সেলোনার ইতিহাসে সর্বোচ্চ লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়া রেকর্ড নিজের করে নিয়ে পেছনে ফেলেন সাবেক ক্লাব সতীর্থ আন্দ্রে ইনিয়েস্তাকে।
এতোদিন ধরে মেসি-ইনিয়েস্তা উভয়েই ৯টি করে লিগ শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেন। তবে অলটাইম রেকর্ড ভাঙতে এখনো ৩টি শিরোপা জিততে হবে মেসিকে। কারণ লা লিগার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১২টি শিরোপা স্বাদ পেয়েছেন ১৯৫৩ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ১৮ বছর রিয়াল মাদ্রিদে খেলা উইঙ্গার পাকো গেন্তো। এছাড়া ১০ বার শিরোপাটির স্বাদ পেয়েছেন ‘পিররি’ নামে পরিচিত রিয়ালের সাবেক স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
অবশ্য ৮৫ বছর বয়সী পাকো গেন্তো এখনো বেঁচে আছেন। তিনি দেখছেন ৪৮ বছর আগে গড়া তার রেকর্ডের দিকে উল্কার গতিতে ছুটছেন মেসি। শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা দেখে যেতে পারবেন কী না তা সময়ই বলে দিবে। কারণ তাকে ছড়াতে মেসিকে আরও তিনটি শিরোপা জয় করতে হবে। বার্সেলোনা যদি আগামী তিন মৌসুম টানা লিগ শিরোপা জিতে তবেই এ রেকর্ডও নিজের করে নিবেন মেসি। সে সময় গেন্তো বেঁচে থাকলে তার বয়স হবে ৮৮ বছর। আর মেসি থাকবেন ৩৪ বছরে।
এএ/ওয়াই
মন্তব্য করুন