সৌম্যর ব্যাটে চড়ে আবাহনীর শিরোপা জয়
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠ যেন সৌম্যর জন্যই তৈরি। টানা দুই শতক একই মাঠে। গত ম্যাচেও খেলেছিলেন ১০৬ রানের ইনিংস। তার ওই ইনিংসে ভর করে গতবারের শিরোপা জয়ী আবাহনী টিকে ছিল শিরোপার দৌড়ে। আজ শিরোপা জয়ের দিন তো খেললেন মহা কাব্যিক এক ইনিংস।
বিশ্বকাপের প্লেনে চড়ার আগে সৌম্য সরকার দেখিয়ে দিলেন, নির্বাচকদের নির্বাচনে ভুল ছিল না।
আবাহনীর প্রতিপক্ষ ছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এই ম্যাচে যদি আবাহনী হেরে যেত আর অন্য ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে যদি লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ জিতে যায় তাহলে শিরোপা হারাতে হতো আবাহনীকে।
এমন সমীকরণে প্রাইম ব্যাংককে ৮৮ রানে হারিয়ে দেয় রূপগঞ্জ, আর আবাহনীর সামনে ৩১৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব! তানভীর হায়দার খেলেন ১৩২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
বাঁচা-মরার ম্যাচে আগে বোলিং করে মাশরাফি নেন ১০ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট। এছাড়া বড় অংকের রান দিয়েছে সবাই।
শেখ জামালের দেয়া ৩১৭ রান তাড়া করার লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই চার-ছয়ের ঝড় তোলেন আবাহনীর দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার আর জহুরুল ইসলাম অমি।
বৈশাখের তীব্র গরমও হার মেনে যায় এই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের কাছে। একপ্রান্তে সৌম্য খেলেছেন আগ্রাসী হয়ে আর অন্য প্রান্তে জহুরুল খেলেছেন ধীর গতিতে।
সৌম্য তার গতিতেই খেলেছেন, ৭৮ বলে তুলে নেন শতক। এরপর যেন দ্বিগুণ আগ্রাসী হয়ে উঠেন।
সৌম্যর সঙ্গে শতক তুলে নেন জহুরুলও। ১২৮ বলে ১০০ করেই তবে মাঠ ছাড়েন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। দলীয় রান তখন ৩১২। জিততে হলে লাগে মাত্র ৬ রান।
এর ভেতর সৌম্য ভেঙ্গে ফেলেন ডিপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। রকিবুল হাসানের করা ১৯০ রান টপকে সৌম্য পৌঁছে যান ২০০ রানে। ২০৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন দলকে শিরোপা এনে দিয়ে। ৩১৭ রান টপকাতে আবাহনীর খেলতে হয় ৪৭.১ ওভার।
সৌম্যর ২০৮ রানের ইনিংসে ছিল ১৪টি চার আর ১৬ ছয়। এখানেও রেকর্ড গড়েছেন এই বাঁহাতি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছয় হাঁকানোর রেকর্ড আছে ডি অর্চি শর্টের (পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া), ১৭টি ছয় হাঁকিয়েছিলেন নামিবিয়ার গ্যারি স্নাইম্যান, জাতীয় দলের হয়ে ১৬টি ছয় হাঁকিয়েছেন ভারতের রোহিত শর্মা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। এরপর আজ ১৬টি ছয় হাঁকিয়েছেন সৌম্য সরকার।
এমআর/এএ/জেএইচ
মন্তব্য করুন