• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাহির জোড়া আঘাতের পর বৃষ্টির রাজত্বে শেষ তৃতীয় দিন

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১০ মার্চ ২০১৯, ১১:৪০

ওয়েলিংটনে বৃষ্টি যেন পিছু ছাড়ছে না। পাঁচ দিনের টেস্টের প্রথম দুই দিন বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২১১ রানের জবাবে দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে এখনো ১৭৩ রানে পিছিয়ে আছে নিউজিল্যান্ড। হাতে রয়েছে আরও ৮ উইকেট।

ওয়েলিংটনে কিউই পেসারদের পেস ঝড়ের পর এবার তোপ দাগাতে শুরু করেছিলেন রাহি ও এবাদত। কিন্তু শেষ দিকে বেরসিক বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা শেষ করতে হলো উভয় দলকে।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই পেসারের বল খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আগের ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ান জিত রাভাল ও টম ল্যাথামকে। দুজনের পেস তোপে পড়ে স্লথ গতিতে রান তোলায় মনযোগ দেয় কিউইরা।

কিন্তু দলীয় পঞ্চম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে টম ল্যাথামকে ফেরত পাঠান রাহি। এ সময় ব্ল্যাক ক্যাপসদের রান ছিল ৫ রান। এর তিন রান পর আবার আঘাত হানেন রাহি। এবার তার শিকার প্রথম টেস্টের আরেক সেঞ্চুরিয়ান জিত রাভাল। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে জায়দের হাফভলি ডেলিভারি উঁচুতে খেলতে গিয়ে কভার অঞ্চলে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেন রাভাল।

এরপরই অধিনায়ক উইলিয়ামসন অভিজ্ঞ রস টেইলরকে নিয়ে দ্রুতগতিতে রান তোলায় মনোযোগ দেন। বৃষ্টি আঘাত হানার আগে এ দুজন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩০ রান সংগ্রহ করেন। উইলিয়ামসন ১০ ও টেইলর ১৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

এর আগে রোববার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কিউইদের পেস তোপে পড়ে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ২১১ রান করতে সক্ষম হয়। তামিম ও সাদমান উদ্বোধনী জুটিতে ৭৫ রান তোলার পর সাদমানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন গ্র্যান্ডহোম। আর এতে করে প্রায় ২০ বছর আগে এক অনন্য রেকর্ডে ভাগ বসান তামিম ও সাদমান।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ইতিহাসে কোনও সফরকারী দলের টানা তিন ইনিংসে অর্ধশত রানের ওপেনিং জুটি ছিল মাত্র একটি। ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন ও হার্শেল গিবস টানা তিন ফিফটির পার্টনারশিপ গড়েন। টানা তিন ইনিংসে তারা করেন যথাক্রমে ৭৬, ১২৭ ও ৭৩ রান। এবার দুই কিংবদন্তির পাশে বসলেন তামিম-সাদমান। হ্যামিল্টনে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৫৭ ও ৮৮ রানের জুটি বাঁধেন তামিম-সাদমান। আর ওয়েলিংটনে গড়লেন ৭৫ রানের জুটি।

অবশ্য টানা তিন ইনিংসে অর্ধশতাধিক রানের ওপেনিং জুটি বাংলাদেশ আগেও দুইবার দেখেছে। প্রতিবারই তামিমের নাম জড়িয়ে আছে। প্রথমবার ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে। সেবার ইমরুল কায়েসের সঙ্গে যথাক্রমে ৮৮, ১৮৫ ও ১২৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। আর ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ১১৮, ৬৭ ও ৯৫ রানের জুটি গড়েন ড্যাশিং ওপেনার।

দলীয় ১১৯ রানে মুমিনুলকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ওয়েটিংয়ের ক্যাচ বানিয়ে ফেরত পাঠান ওয়াগনার। মিঠুনকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেননি ওয়াগনার। চতুর্থ উইকেট হিসেবে দলীয় ১৩৪ রানে তামিম ওয়াগনারের বলে বিদায় নেন। তার আগে ১১৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ২৭তম অর্ধশত।

এরপর দ্রুতই সৌম্য, মাহমুদুল্লাহ ফিরে গেলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুইশ হবে কিনা তা নিয়েই সন্দেহ তৈরি হয়। কিন্তু শেষ দিকে লিটন দাসের ৩৩ রানে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২১১ রান করতে সমর্থ হয়।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ওয়াগনার ৪টি, বোল্ট ৩টি, সাউদি, গ্র্যান্ডহোম ও হেনরি প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট লাভ করেন।

আরো পড়ুন:

এএ/এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সুব্বা রাও আর নেই
যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের দায়িত্বে বাংলাদেশের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক কোচ
হাথুরুসিংহের ঢাকায় ফেরা নিয়ে যা জানাল বিসিবি
দলে ফেরা প্রসঙ্গে শান্তকে যা বলেছেন তামিম
X
Fresh