• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

কোনও অজুহাত দিতে চাই না: মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:০২

সিরিজ জয়েই লক্ষ্য নিয়েই তাসমান সাগর পাড়ি দিয়েছিল মাশরাফি বাহিনী। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই টপ অর্ডারের নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৩৩ রানে অলআউট হয়েছে টাইগাররা। যদিও ম্যাকলিন পার্কের ২২ গজে ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসনদের সাপের মতো ছোবল দিয়ে উঠা বল দেখে মনে হয়েছিল ২৩৩ রানও ফেলনা কিছু নয়। কিন্তু কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলের সেঞ্চুরির পর এই রানকে তো মামুলিই বলা যায়। শুধু গাপটিলের সেঞ্চুরি কেন, নিউজল্যাণ্ড পুরো খেলাতেই আধিপত্য বিস্তার করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে আট উইকেটে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজও ১-০ তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানটা যখন একের পর এক প্যাভেলিয়নে ফিরছিলেন তখন নেপিয়ারের উইকেটকে মৃত্যুকূপ বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান সাইফুদ্দিনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দেখে মনে হতেই পারে এই একটু সয়ে খেললে রানটিকে আড়াইশ’ পৌনে তিনশর কোটায় নিয়ে যেতে পারতেন তামিম, লিটন দাস ও সৌম্য সরকারেরা।

ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে আরেকজনের কথা বলতেই হয়। মোহাম্মদ মিঠুন। ডান-হাতি এই ব্যাটসম্যান ৯০ বলে ৬২ রানের ইনিংসটি না খেললে বাংলাদেশকে হয়তো আরও অনেক বেশি বিপদে পড়তে হতো। তবে মিঠুনের এই ইনিংসটির জন্য সাইফুদ্দিনকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। তিনি ৫৮ বলে ৪১ রানের লড়াকু ইনিংসটি না খেললে মিঠুনকে হয়তো সঙ্গীর অভাবে অনেক আগেই সাজঘরে ফিরতে হতো।

যত সমীকরণেই কষা হোক না কেন, নিজেদের মাঠে ২৩৩ রান কিউইদের জন্য যে ছোট লক্ষ্যই সেটা ব্যাট হাতে নেমেই বুঝিয়ে দিলেন হেনরি নিকোলাস ও মার্টিন গাপটিল। ওপেনিং জুটিতেই করেন ১০৩ রান।