বিশ্বকাপে সরফরাজই পাকিস্তানের ভরসা
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দিলে ফেলুকওয়ায়োকে বর্ণবাদী মন্তব্য করে চার ম্যাচে নিষিদ্ধ হওয়ার জেরে সিরিজের মাঝপথেই দেশে ফিরিয়ে নেয়া হয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে। এরপরই গুঞ্জন উঠে হয়ত আবারো নতুন নেতৃত্বের পথে হাঁটছে পাকিস্তান। কিন্তু সকল গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে পিসিবি প্রধান জানিয়ে দিলেন বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের নেতৃত্বে থাকবেন সরফরাজ আহমেদই।
এদিকে সরফরাজ আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন মার্চের শেষ দিকে আবুধাবিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে। এরপরই পাক ক্রিকেটে জল্পনা শুরু হয়। সরফরাজকে হয়ত বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে নাও রাখা হতে পারে।
২০১৬ সালে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পান সরফরাজ। ২০১৭ সালে সব ফরম্যাটের নেতৃত্ব বর্তায় তার কাঁধে। তার নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বর্ণবাদী মন্তব্য করায় আইসিসির অ্যান্টি রেসিজম কোড ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়, যার জেরে নিষিদ্ধ হন চার ম্যাচ। তার বদলে সফরের বাকি ম্যাচগুলোর জন্য নেতৃত্ব দেয়া হয় শোয়েব মালিককে।
সরফরাজের অধিনায়কত্ব বহাল রাখার কথা জানিয়ে পিসিবি’র চেয়ারম্যান এহসান মানি বলেন, আমি এটা নিশ্চিত করতে পেরে আনন্দিত যে, আসন্ন বিশ্বকাপ পর্যন্ত নেতৃত্বে থাকছে সরফরাজ। সে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিয়েছে। তার অধীনেই টি-টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে দল। সাম্প্রতিক টেস্ট পারফরম্যান্স দিয়ে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার হিসেবে তার অবদান খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
এদিকে নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত সরফরাজ। পূর্বসূরি কিংবদন্তিদের পথ ধরে বিশ্বকাপের নেতৃত্ব পাওয়ায় তিনি গর্বিত বলেও জানিয়েছেন। তার কাছে এটা স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো আনন্দের উপলক্ষ। তবে অধিনায়ক হিসেবে টিকে গেলেও তাকে নিয়ে বিতর্ক থামছে না। এমনকি কয়েকজন পাকিস্তানি খেলোয়াড় নাকি তার অধীনে খেলতে অস্বীকৃতিও জানিয়েছেন।
বিশ্বকাপের আগে আগামী মে মাসে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। আর বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচ ৩১ মে ট্রেন্ট ব্রিজের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে।
আরও পড়ুন
এএ/জেবি
মন্তব্য করুন