জুভিদের ‘ইতালিয়ান ডার্বি’ উপহার দিলেন মানজুকিচ
১৯০৯ সাল থেকে একে অপরের বিপক্ষে খেলে আসছে জুভেন্টাস-ইন্টার মিলান। ইতালির এই তুরিন ও মিলান অঞ্চলের দুই দলের মহাযজ্ঞকে ১৯৬৭ সালে দেশটির কিংবদন্তি স্পোর্টস সাংবাদিক গিয়ানি ব্রেরারা নাম দেন ড্রাবি ডি’ ইতালিয়া বা ইতালিয়ান ড্রাবি।
দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের সমীকরণ আর সাম্প্রতিক ফর্মের বিবেচনায় এগিয়ে থেকেই মাঠে নামে জুভেন্টাস।
যদিও শুক্রবার সিরি আ’র এই ম্যাচে লড়াই চলেছে সমান সমানে। প্রথমার্ধে দুই পক্ষই একে অপরের প্রান্তে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকে।
তবে সফল হয়েছেন জুভিদের হয়ে খেলা ক্রোয়েশিার তারকা মারিও মানজুকিচ। ‘সুপার মারিও’ খ্যাত এই স্ট্রাইকারের দেয়া একমাত্র গোলেই ডার্বি জয় পেয়েছে তুরিনের দলটি।
এই জয় লিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাপোলির চেয়ে জুভেন্টাসকে এগিয়ে রাখল ১১ পয়েন্টে।
জুভেন্টাস ম্যাচ জিতলেও প্রথমার্ধে দাপুটে ফুটবল খেলে ইন্টার মিলান। কিন্তু সুযোগ নষ্টের কারণে ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারেননি মাউরো ইকার্দির দল।
এমনকি ম্যাচে মিলানের এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পোস্টও।
জুভেন্টাসের হয়ে পাউলো দিবালা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো কয়েকবার হতাশ করেন দর্শকদের। গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজেদের দখলে নিয়ে নেন জুভেন্টাস ফুটবলাররা। মানজুকিচের গোলের আগে গোল করার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রোনালদো। তবে সিআরসেভেনের শট গোল পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
৬৬তম মিনিটে জোয়াও কানসেলোর ক্রস পেয়ে হেডের মাধ্যমে অসাধারণ ফিনিশিং উপহার দেন ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার মানজুকিচ।
আর্জেন্টাইন তরুণ তারকা লাউতারো মার্টিনেজ মিলানের হয়ে ম্যাচে সমতা ফেরানোর সেরা সুযোগ পেলেও তার ভলি তিন কাঠির অনেকটা বাইরে দিয়ে চলে যায়।
এই জয়ের ফলে লিগে টানা অষ্টম জয় পেল সাদা-কালো শিবির। ১৫ ম্যাচের ১৪ টিতে জয় এবং একটিতে ড্র করে লিগের সবার উপরে তারা। দ্বিতীয়স্থানে থাকা নাপোলির পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩২। ১৫ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থান দখল করে আছে ইন্টার মিলান।
ওয়াই
মন্তব্য করুন