রাজনীতিতে কেন আসলেন ক্রিকেটার মাশরাফি?
মাশরাফি বিন মুর্তজা বাংলাদেশের তরুণদের আইডল যাকে বলা হয়। ভক্তদের কেউ তাকে গুরুর মর্যাদা দিয়েছেন, আবার কেউ বা নামের পাশে যুক্ত করেছেন বীরের বিশেষণও। গেল ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে তার দুই পা ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে দেশের জন্য ক্রিকেট খেলে। সাত বার দুই পা নিয়ে যেতে হয়েছে ডাক্তারের ছুরি-কাঁচির নিছে। তবুও থেমে যাননি বরং আরও দুর্বার হয়ে ফিরেছেন দেশকে ভালো কিছু দেয়ার ক্ষুদায়। মাশরাফি পেরেছেনও। নেতৃত্বগুণে তিনি শতভাগ সফল বাংলাদেশের ক্রিকেটে।
ক্রিকেট এখনও খেলে যাচ্ছেন। তবে শঙ্কা, আগামী বিশ্বকাপের পর ইতি টানবেন দীর্ঘ ক্যারিয়ারের।
তাহলে ইতি টানার আগে সময় পাচ্ছেন মাত্র সাত থেকে আট মাস। ক্রিকেট ছাড়ার পর কি করবেন তিনি?
এমন প্রশ্নের উত্তর নিশ্চয় তার মনেও ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যে নিজের শহর নড়াইলে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেও জড়িয়েছেন নিজেকে। প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘নড়াইল-এক্সপ্রেস’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
তাতে ঠিকঠাকই চলছিল সব। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে, হঠাৎ রাজনীতিতে আসা নিয়ে। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভ। মাশরাফির মতো ভালো একজন মানুষের কেন আসা লাগবে রাজনীতিতে?
রাজনীতিতে আসা নিয়ে এতদিন বাংলাদেশ অধিনায়ক তার ভাবনাগুলো নিজের মনে রাখলেও আজ মঙ্গলবার কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে।
সকাল থেকে মিরপুরের মাঠে করেছেন অনুশীলন। তারপরই আসেন ব্যক্তিগত সংবাদ সম্মেলনে। পরিষ্কার করেন রাজনীতিতে আসার পেছনে তার ভাবনাগুলো।
‘আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচীন টেন্ডুলকার, না ম্যাকগ্রা যে আমার কথা মানুষ স্মরণ করবে। আমি আমার মতো করেই ক্রিকেটটা খেলেছি, আমার মতো করেই আমার স্ট্রাগলিং লাইফে খেলার চেষ্টা করেছি। আমি সব সময় উপভোগ করেছি মানুষের জন্য কাজ করা। এটা আমার ছোটবেলার একটা শখ ছিল বলতে পারেন। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সুযোগটা দিয়েছেন যেন, বৃহৎ পরিসরে কিছু করতে পারি। এ জন্যই সুযোগটা নেয়া। আমি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই রাজনীতিতে এসেছি।’
আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ। ১২ তারিখ দ্বিতীয় ম্যাচ ঢাকায় গড়াবে। এর পর ১৪ তারিখে সিলেটে হাবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
ক্রিকেটের বাইরে নড়াইলে রাজনীতি নিয়ে কি কোনো ছক এঁকেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘এখনও ঘোরার সুযোগ পাইনি আমি। যাওয়ার সুযোগ হয়নি। এই সিরিজটা শেষ হলেই যাবো। এখন নড়াইলের মানুষদের ওপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করছে। আমি যাবার পর যে কাজগুলো আছে সেগুলো আমি করবো।’
এমআর/ওয়াই
মন্তব্য করুন