ভারোত্তোলক ধর্ষণে কঠোর অবস্থানে ফেডারেশন
বাসে, ট্রেনে নারীদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার ঘটনা অহরহর শোনা যায়। কিন্তু এবার যৌন হয়রানির খবর ঘটেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে নিপীড়িত নারী একজন খেলোয়াড় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিও খেলোয়াড়ের পাশাপাশি একজন অফিস সহকারী।
বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের নবীন খেলোয়াড় পলি আক্তার(১৮) ফেডারেশনের পদক জয়ী খেলোয়াড় ও খণ্ডকালীন অফিস সহকারী সোহাগ আলীর কাছে শারীরিকভাবে নির্যাতিত হন। পলি আক্তারের মামা মোঃ নাজমুল হক জানান চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখ তার ভাগ্নি পলিকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করা হয়। এরপর ফেডারেশনের চতুর্থ তলায় একটি কক্ষে নিয়ে তার ওপর অমানুষিক যৌন নির্যাতন চালানো হয়।
এ ব্যাপারে মামা নাজমুল হক ফেডারেশনের কাছে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন সোহাগের এই অপকর্মে সাহায্য করেন জাতীয় দল এবং আনসার ভিডিপির ভারোত্তোলক উন্নতি বিশ্বাস ও অন্য এক অফিস সহকারী মালেক।
ওই ঘটনার পর নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে পলি আক্তারকে ফেডারেশনে আসতে নিষেধ করেন অভিযুক্ত সোহাগ।
এছাড়া পলির পরিবার থেকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ৭ লাখ টাকা দাবি করেন সোহাগ।
পলির মামা নাজমুল হক আরও জানান, বর্তমানে দুশ্চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে জাতীয় মানুষিক ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পলি।
এদিকে আজ মঙ্গলবার ভারোত্তোলন ফেডারেশনে গিয়ে কথা হয় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ফেডারেশন থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে বলে জানানো হয়। তিনি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাহায্য কামনা করেন।
সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঘটনার সংলিষ্ট সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ইতিমধ্যে ভারোত্তোলনের সকল কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে অভিযুক্ত সোহাগ আলীকে।
উল্লেখ্য, পলি আক্তার ২০১৪ সালে ভারোত্তোলন ফেডারেশনে যোগ দেন। সেবছরেই ক্লাব প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক লাভ করেন তিনি।
এছাড়া সোহাগ আলী ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার হয়ে ২০১৪ সালে দ্বিতীয় স্থান ও ঘটনায় সাহায্যকারী উন্নতি বিশ্বাস ২০১৮ সালে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
আরও পড়ুন :
এস/এমআর/সি
মন্তব্য করুন