এগিয়ে থেকেও কী স্বস্তিতে বাংলাদেশ?
দুই দল আজ একদিনেই হারালো ১৭ উইকেট! দুই দিনে এখন পর্যন্ত ২৫ উইকেটে পেসাররা নিয়েছে ৫ উইকেট, বাকি ২২ উইকেট নিয়েছে স্পিনাররা। ক্যারিবীয় পেসাররা উইকেট নিলেও প্রথম ইনিংসে টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান করেছেন মাত্র ২ ওভার।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিজেদের পাতা ফাঁদে নিজেরাই পড়তে যাচ্ছে না তো! স্কোরবোর্ড তো তাই বলে। আজকের দিনের শেষ সেশনে ১৭ ওভার খেলতেই ৫ উইকেট নেই স্বাগতিকদের।
গতকাল চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে মুমিনুলের দুর্দান্ত শতক আর অভিষিক্ত নাঈম হাসান ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৩২৪ রান তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে ভুগতে থাকে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই ছিল বিদ্যমান। মাঝে শিমরণ হেটমেয়ারের ঝড়ো ৬৩ আর শেন ডরিচের অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংসে লড়াইয়ে ফিরে ক্যারিবীয়রা।
কিন্তু সেটিও বেশিক্ষণ স্থির হতে দেননি অভিষেক ম্যাচে চমক দেখানো নাঈম। সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেকেই তুলে নেন ৫ উইকেট! তাও আবার টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে।
চোট থেকে ফেরার ম্যাচে সাকিব আল হাসানও নেন ৩ উইকেট। আরেক স্পিনার তাইজুল ১ উইকেট নিয়ে চলতি বছরে মোট ৩৪ উইকেট নিয়ে দেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়েছেন তিনি।
ক্যারিবীয়রা স্বাগতিকদের বোলিং তোপে থেমে যায় ২৪৬ রানে। তাতে ৭৮ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ।
গোটা দিন বাংলাদেশের অনুকূলে থাকলেও দিনের শেষ সেশন ম্লান করে দিল স্বাগতিকদের।
নিজেদের পাতা স্পিনের ফাঁদে পড়েছে নিজেরাই। ১৭ ওভারে ৫৫ রান তুলতেই নেই ৫ উইকেট। এই পাঁচ উইকেটের সবকটাই নিয়েছেন ক্যারিবীয় স্পিনাররা।
জোমেল ওয়ারিকান আর রোস্টন চেজ নেন দুটি করে উইকেট। বাকি এক উইকেট নেন দেবেন্দ্র বিষু।
এই টেস্টের এখনও বাকি আছে গোটা তিন দিন। এখন পর্যন্ত লিড হয়েছে মাত্র ১৩৩ রান। চট্টগ্রামের উইকেট যে আচরণ দেখিয়েছে প্রথম দুই দিনে তাতে তৃতীয় দিনের সকালটা নিশ্চয় চোখ রাঙাবে স্বাগতিকদের দিকে।
দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত আছেন ১১ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম আর মেহেদী মিরাজ।
এমআর/পি
মন্তব্য করুন