ম্যাচের নায়ক মুশফিক, সিরিজের নায়ক তাইজুল
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটি শুরু হবার আগে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। প্রথম ম্যাচের দুই ইনিংসে ১১ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাম-হাতি এই স্পিনার। ছাড়িয়ে যান তৃতীয় স্থানে থাকা ৭৮ উইকেট নেয়া মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। দুর্দান্ত বোলিং করেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে হাতছাড়া করতে হয় ম্যাচটি।
ঢাকায় ফিরে প্রথম ইনিংসে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। টানা তিন ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট শিকার করে তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে গড়েন রেকর্ড।
চতুর্থ দিনের শেষ দিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন ব্রায়ান চারি। তবে এলবিডব্লিউ ফাঁদে পড়ে ফিরতে হয় তাইজুলের বলেই। অন্যদিকে সফরকারীদের মিডল অর্ডারের ভরসা হিসেবে খ্যাত সিকান্দার রাকেও ফেরান এই স্পিনার।
সব মিলিয়ে দুই ম্যাচে তাইজুলের উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮টি। আর তাই সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি তুলে দেয়া হয়েছে তার হাতেই। ২০১৪ সালে অভিষেকের পর সাদা পোশাকে ২১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এখন মোট উইকেট ৮৭টি।
২৬ বছর বয়সী তাইজুলের উপরে রয়েছেন ১০০ উইকেট নেয়া মোহাম্মদ রফিক। ৩৩ ম্যাচ পর্যন্ত খেলে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন কিংবদন্তি এই স্পিনার। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান। ৫৩ ম্যাচে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মোট উইকেট সংখ্যা ১৯৬টি।
অন্যদিকে ২০১৩ সালে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ ৫ বছর পর ফের এই কীর্তি গড়লেন। দ্বিতীয় টেস্টর প্রথম ম্যাচে ২১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। যা টেস্টে টাইগারদের হয়ে সবোর্চ্চ। জয়ের পর ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ৩১ বছর বয়সী এই তারকাকেই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
টেস্টের ইতিহাসে উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান হয়ে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি রেকর্ডও বর্তমানে মুশির দখলেই।
আরও পড়ুন :
- নির্বাচনের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবেন না মাশরাফি: পাপন
- চাওয়া-পাওয়ার ম্যাচে সিরিজ সমতা বাংলাদেশের
ওয়াই
মন্তব্য করুন